জেলা প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের তাড়াটিয়া গ্রামের আলম বেপারী (৩৮) শ্যালিকা ও শ্যালিকার ১৯ মাস বয়সী সন্তানকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তাদের ডাক্তার দেখিয়ে আলমের আর ফেরা হল না। শ্যালিকা ও শ্যালিকার সন্তানও ফেরেনি। সবাই সোমবার বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় মারা যায়।
আলম বেপারী ঢাকার মৌচাক মার্কেকেট একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন। করোনা ভাইরাসের কারনে ৪ মাস আগে তার চাকরিটি চলে যায়। মা-বাবা,স্ত্রী ও ২ ছেলেকে নিয়ে কষ্টেই দিন কাটছিল। তার শশুরবাড়ি পাশ^বর্তী পাড়াগাও গ্রামে গত ১ মাস পূর্বে তার শ্বশুর মারা যায় সেই সুবাদে শ্বশুরবাড়ীতে আপাতত থাকা। শ্যালিকা মারুফা আক্তারকে বিয়ে দিয়েছেন টংগীবাড়ী উপজেলার আপরকাঠি গ্রামে। সোমবার সকালে শ্যালিকার আসলাসের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখানোর জন্য শালিকার ৫ বছরের এক কন্যা সন্তানকে বাড়ীতে রেখে শালিকা ও শ্যালিকার ১৯ মাসের পুত্র সন্তান তালহাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হন। শালিকার গাড়ীতে গেলে বমি আসে বিধায় সোমবার সকালে তাদের বহনকারী লঞ্চটি অপর একটি লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা নিয়ে আলম বেপারীর তাড়াটিয়ার বাড়িতে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার। তিনি আলমের স্ত্রী ও তৃতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া ২ ছেলে আল মামুন ও আলভির হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। সাথে সাথে তাদেরকে সরকারী ঘর দেওয়ার জন্য কাগজ দিতে বলে এবং তিনি ভবিষ্যতে সরকারী সহায়তা প্রদানের আশ^াস দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু রেজওয়ান,আটপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ূব খান, ইউপি সদস্য মোঃ তপন হাওলাদার প্রমুখ।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।