জেলা প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মচারীকে অকর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং গুরুত্বর জখম করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুত্বর আহত নার্সারী কর্মচারী উজ্জল শেখকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে আহত উজ্জল শেখ বাদী হয়ে ৩জন সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬ কে বিবাদী করে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৫ সালে উপজেলার ষোলঘর হাইস্কুলের পূর্ব পাশে আর এস ৪৬৪দাগের কিছু জমি আব্দুল কাইয়ুম মৌখিকভাবে ষোলঘর গ্রামের স্বপন ও গোবিন্দ রায়ের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে নার্সারী ব্যবসা শুরু করে। আগামী ১০/১৫ বছরের জন্য নার্সারী করার শর্তে আঃ কাইয়ুমকে দিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মাটি ফেলে তার নিকট ভাড়া দেয়। গত ১৫/১৬ দিন পূর্বে স্বপন রায় ও গোবিন্দ রায় এই করোনা কালীন বৈশ্বিক মহামারীতে আঃ কাইয়ুমকে নার্সারী সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলে। আঃ কাইয়ুম সময়ে আবেদন করলে তার উপর ক্ষিপ হয় এবং ৭দিনের মধ্যে নার্সারীতে থাকা অনুমানিক ৫/৬ লক্ষ টাকার চারাগাছ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বলে। ৩১জুন/২০ তারিখ দুপুরে নার্সারীর কর্মচারী উজ্জল শেখ নার্সারীতে চারা রোপন ও কিছু আগাছ কেটে পরিস্কার করাকালে গোবিন্দ রায় বাধা দিলে উজ্জল কাজ বন্ধ করে দিয়ে নার্সারীর মালিকের সাথে কথা বলতে বলে। বিকেল ০৪ টার দিকে ষোলঘর হাসপাতালের পূর্বে পাকা রাস্তার উপর কর্মচারী উজ্জলকে পেয়ে স্বপন রায় অকর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নার্সারীতে কাজ করলে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন দেয়। উজ্জল মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে গোবিন্দকে তার ছোট স্বপন গালিগালাজ করার কথা জানালে গোবিন্দ ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেছেতো কি হয়েছে বলে উজ্জলকে পূনরায় হুমকি দেয়। ২জুুুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গোবিন্দ রায়কে গালিগালাজ করার কথা জিজ্ঞাসার শত্রুতার জের গোবিন্দর ছেলে সিধুু রায়সহ হাসপাতালের সামনে ফার্মেসীতে থাকা আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন হাতে ধারালো দা, লোহার রড, কাঠের ডাস ইত্যাদ্দি নিয়ে হাসপাতালের সামনে উজ্জলকে পেয়ে তার পথরোধ করিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে মারপিট করে উজ্জলের বাম হাতে হাড় ভাঙ্গা জখম করে এবং মাটিতে ফেলে দিয়ে সকলেই মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে এবং আঃ কাইয়ুম নার্সারীতে গিয়ে নার্সারীতে রোপন করা লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রকার চারা গাছ দা দিয়া কাটিয়া ক্ষতি সাধন করে।

এব্যাপারে মেসার্স আঃ কাইয়ুম নার্সারী প্রোঃ আঃ কাইয়ুমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝামেলা থাকলে তারা আমার সাথে কথা বলবে। কিন্তু তারা তা না করে আমার কর্মচারীকে মেরে আমার নার্সারী থাকা লক্ষাধিক টাকার চারাগাছ কেটে এ করোনার সময় এভাবে আমার ব্যাপক ক্ষতি করেছে। আমি এখন নিরুপায়। কি করবো। কোথায় যাবে।

এব্যাপারে শ্রীনগর থানার এস,আই শরিফ আশিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।