নরসিংদীর বেলাবতে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দায়িত্ব পালনের সময় মহাসড়কে না গেলেও অহেতুক সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ থ্রি-হুইলার আটক ও ঘুষ গ্রহণ করে ছেড়ে দেয়াসহ চালকদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ থ্রি-হুইলার চালকদের অভিযোগ, ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে বেলাব ও রায়পুরা থানা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন সংযোগ সড়কে চলাচলকারী সিএনজি, অটোরিকশা, বিভাটেক গাড়ি অন্যায়ভাবে আটক করে। এ সময় বড় অংকের ঘুষ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটককৃত গাড়ি ছেড়ে দেয়। তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ না দিলে গাড়ি ভৈরব হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশ অটোরিকশা ও বিভাটেক গাড়ি আটক করে ভাঙচুর, গাড়ির টায়ার কেটে দেয়া, গর্তে ফেলা দেয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে থাকে। শনিবারও বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের সীমানার পাশ থেকে অন্যায়ভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ। আটকের পর সিএনজি অটোরিকশা ভৈরব হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ চালকরা পুলিশের গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নিয়ে গাড়িসহ পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করে। বারৈচা-রায়পুরা সড়কে চলাচলকারী সিএনজি চালক আনোয়ার, মারজান হোসেন, বিভারটেক চালক কামালসহ একাধিক চালক অভিযোগ করে বলেন, প্রায়ই ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ আমাদের গাড়ি আটক করে নিয়ে যায়। পরে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে গাড়ি আনতে হয়। টাকা না দিলে অনেক সময় তারা গাড়ির টায়ার কেটে দেয়, ভাঙচুর করে গর্তে ফেলে দেয়। সিএনজি চালক পারভেজ অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে হাইওয়ে ভৈরব থানা পুলিশ আমার সিএনজি আটক করে। পরে আমি ২৫ হাজার টাকা দিয়ে গাড়ি ফেরত আনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, থ্রি-হুইলার চালকরা নিষেধাজ্ঞার পরও অন্যায়ভাবে সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক বিভাটেক গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে উঠে এ কারণে তাদের গাড়ি আটক করা হয়। আজকেও একটি সিএনজি সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে উঠে গেলে পুলিশ সিএনজিটি আটক করে। পরে চালকরা অন্যায়ভাবে একজোট হয়ে পুলিশের গাড়ি মহাসড়কে আটককে রাখে। ঘটনাস্থলে থাকা ভৈরব হাইওয়ে থানার উপ পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে থ্রি হুইলার গাড়ি চলাচল করা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তারা এসব গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে উঠে। এ সময় আমাদেরকে দেখে তারা ভিতরের রাস্তায় চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে আমরা তাদের আটক করি। পরে তারা অন্যায়ভাবে একতাবদ্ধ হয়ে আমাদের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে। ভৈরব হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মামুন উর রশিদ হয়রানি ও ঘুষ বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছি। সিএনজি চালকরা মহাসড়কে উঠায় তাদের গাড়ি আটক করা হয়। কিন্তু পরে চালকরা বেআইনিভাবে পুলিশের গাড়ি মহাসড়কে আটককে চাবি নিয়ে যায়। মহাসড়কে এসব চালকদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।