মতিন রহমান, মাগুরা থেকে :
মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের বড়জোকা- মনিরামপুর গ্রামে জমিতে বিষ ফেলে হাঁস মুরগি মারাকে কেন্দ্র করে ও সামাজিক দুই দলের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট) রাত ৮ টার দিকে মনিরামপুর বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহব্বত আলী সমর্থকের সঙ্গে সাবেক মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা সমর্থকরা এই মারামারি ও ভাংচুরের করে। এতে ১টি বসতবাড়ি সহ মনিরামপুর বাজারের ৫টি দোকান ভাংচুর হয়। স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় , বৃহস্পতিবার সকালে মনিরামপুর গ্রামের নাজমুল শেখ (২৮) তার বেগুন চাষের জমিতে পোকামাকড় মারার জন্য কীটনাশক বিষ প্রয়োগ করে। পরে ওই জমিতে একই গ্রামের জহুর শেখের (৫০) বাড়ির হাঁস-মুরগি গেলে বিষের কারনে কয়েকটি হাঁস ও মুরগি মারা যায়। এসময় দুই পরিবারের মাঝে এই ঘটনা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। পরে সন্ধ্যার সময় তারা বাজারে আসলে ওই একই ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে শুরু হয় মারামারি। এসময় নাজমুলের লোকসহ স্থানীয় রব্বানী মেম্বার ও রাজা গ্রুপের সমর্থকরা বিরোধী পক্ষ জহুর শেখসহ স্থানীয় আলফাজ মাতবব্বর ও চেয়ারম্যান মহব্বত আলীর সমর্থকদের দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাংচুর করে বলে জানা যায়। পরে মূর্হুতের মধ্যে দুপক্ষের লোকজন বাজারের মধ্যে ঢাল সড়কি ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে রাজার সমর্থকরা দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাংচুর চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এসময় নূর ইসলাম নামে এক ব্যাক্তিকে মেরে গুরুতর আহত করে তারা। এসব ঘটনার ব্যাপারে মাগুরার শত্রুজিৎপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর বিশারুল ইসলাম জানান, উক্ত ঘটনায় পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে গেলে পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ইন্সপেক্টর বিশারুল আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে মারামারির সরম্জামাদী উদ্ধার করাসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।