স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সময় বাংলার মাগুরা থেকেঃ
মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের বাহারবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হয়েছেন।
বুধবার (১২ আগস্ট) বিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দূর্নীতির নানা বিষয় উল্লেখ করে এক লিখিত নোটিশের মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন। তথ্যানুসন্ধান ও নোটিশ মারফত জানা যায়, বাহারবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারির বেতন বোনাস টাকা বিল তৈরি করেছেন এবং ব্যাংক থেকে সেই টাকা উত্তোলন করেছেন। সেইসঙ্গে অবৈধ টাকার লোভে পড়ে সরকারি বরাদ্দের টাকায় নির্মিত স্কুলের প্রাচীর ভেঙ্গে ব্যাক্তি মালিককে বাজারের দোকানঘর করার অনুমতি দেন। এভাবে বিদ্যালয়ের স্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপে লিপ্ত হন তিনি। আর এসমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জরুরি নোটিশে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও বাহারবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোঃ নাজমুল হাসানের স্বাক্ষরিত জরুরী নোটিশের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের এসকল অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয় উল্লেখ করে মোঃ জাকির হোসেনকে (৯ আগস্ট) কারণ দশাতে বলা হয় নোটিশে। কিন্তু নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি এসব বিষয়ে কোনো কিছুই কমিটিকে অবহিত না করলে তাকে বুধবার (১২ আগস্ট) সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ কমিটি। একই সাথে ওই তারিখে (১২ আগস্ট) বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুদিপ্ত কুমার বিশ্বাসকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার কথা নোটিশে উল্লেখ করা হয়। এদিকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক সুদিপ্ত কুমার বিশ্বাস জানান, প্রধান শিক্ষকের বরখাস্তের খবর তিনি জেনেছেন। কিন্তু বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে এখনো কোনো ধরনের অফিসিয়ালি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও অফিসের দায়িত্ব বুঝে পাননি বলেও জানান তিনি। এসব ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাহারবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নাজমুল হাসান জানায়, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে দূর্নীতি ও অনিয়ম করার কারণেই তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।তাছাড়া এব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে সকল বিষয়ে চিঠি দিয়ে, নোটিশের মাধ্যমে তাকে অবহিত করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। স্থায়ীভাবে কেনো বরখাস্ত হবে না এই মর্মে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানায় সভাপতি। এছাড়াও লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনর বিরুদ্ধে স্কুলের গাছ কর্তন, সদ্য নির্মিত দোতলা ভবনের ইটের খোয়া না জানিয়ে নিজের বাড়িতে রাখাসহ আরো অনেক অভিযোগ করেন সভাপতি। এসব দূর্নীতি ও অনিয়মসহ বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, বরখাস্তের কোনো চিঠি তিনি এখানো পাননি। এছাড়া স্কুলের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বেতন বোনাসের টাকা উত্তোলন করার ব্যাপারে তিনি পরিষ্কার ভাবে কিছু বলতে পারেননি। এদিকে স্কুলের প্রাচীর ভেঙ্গে দোকানঘর নির্মাণের ব্যাপারটা মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তিনি অবহিত করেছিলেন বলে দাবী করেন।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।