মতিন রহমান, মাগুরা থেকেঃ
মাগুরায় পুলিশের এসআই পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৮ লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে। মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের সংকোচখালী গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে মোঃ সেলিম আজাদ ও তার পরিবারের নিকট থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পলাশ মাহমুদ ও তার স্ত্রী মনিনুন্নাহার দম্পতির বিরুদ্ধে এই টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে ।
জানা যায়, ভুক্তভোগী সেলিম আজাদের ছোট ভাই হোসাইন আলী (২০,..) কে পুলিশের এসআই পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এই স্বামী- স্ত্রী দম্পতি মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । এঘটনায় ওই প্রতারক দম্পতির বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ ও পরে আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। মোছাঃ মনিনুন্নাহার পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। সে মাগুরা সদর উপজেলার কোদালে শ্রীরামপুরের আজিজ মোল্যার মেয়ে। আর মনিনুন্নাহারের স্বামী পলাশ মাহমুদ নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার হেচলাগাতি গ্রামের মকবুল মোল্যার ছেলে। শিক্ষিকা মনিনুন্নাহার মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের তাড়ড়া সরকারি প্রাইমারি স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। অভিযোগ তদন্ত সূত্রে জানা যায়, চাকরির সুবাদে ওই দম্পতি একসঙ্গে গোয়ালবাথান এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। পাশেই সেলিম আজাদের একটি ফার্মেসির দোকানে ছিলো এবং সেখানেই এসে বসতেন পলাশ মাহমুদ। এভাবে তাদের মধ্যে পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। পলাশ মাহমুদ সেলিমের ছোট ভাইকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার পরিবারের কাছ থেকে পলাশ ও তার স্ত্রী গত বছরের ৫ই জুন বিভিন্ন মাধ্যমে ১৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকরি না হওয়ার পরে টাকা ফেরত না দিলে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১লা মার্চ ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মাগুরা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী সেলিম। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পায় তদন্ত কর্মকর্তা। পরে ওই দম্পতি ও পলাশের পিতা মগবুল হোসেন (৬৫), সহ রাসেল শেখ (২৫) ও রাব্বি (২২) নামের ৫ জনকে একই মামলায় আসামি করে ভুক্তভোগী সেলিম বাদী হয়ে মাগুরার আদালতে প্রতারণা মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী সেলিম আজাদ এই প্রতিবেদককে জানায়, ছোট ভাইয়ের বেকার জীবনে একটা চাকরি হবে এমন সরল বিশ্বাসে টাকা দিয়েছিলাম তাদের। পলাশ ও তার স্ত্রী বলেছিল চাকরি না হলে টাকা ফেরত দিবে। চাকরি হয়নি কিন্তু এখন টাকাটাও ফেরত দিচ্ছে না তারা। প্রতারণা শিকার হয়ে সর্বস হারিয়ে এখন অসহায় অবস্থায় টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী সেলিম। এদিকে করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকা ও এলাকা ছেড়ে পালানোর কারণে মনিনুন্নার ও তার স্বামী পলাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে এই প্রতারক দম্পতি ও আসামি চক্রের বিরুদ্ধে কঠিন আইনি শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।