মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মাওয়া মুন্সীগঞ্জ থেকেঃ
মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণনে দেশের সর্ব প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাষাপাশি এখনো বন্ধ রয়েছে নানা প্রতিষ্ঠান, থেমে নেই দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো সরকারের চেলেঞ্জের পদ্মাসেতুর কাজ । বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে সেনাবাহিনির ২৪ ঘন্টা চলছে সেতু এলাকায় মহড়া । ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে । শ্রমিকদের নিরাপত্তার জণ্য – শ্রমিক প্রধান দের সাথে দফায় দফায় চলছে পরামর্শ ।
রোববার (১১ অক্টোবর) সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর স্থাপন করা হয়েছে ৩২তম স্প্যান। ৩১তম স্প্যান বসানোর ৪ মাস পর এই স্প্যানটি বসানো হলো। এটি বসানোর পর মূল সেতুর অবকাঠামোর দৈর্ঘ্য দাঁড়াল ৪ হাজার ৮০০ মিটার বা প্রায় ৫ কিলোমিটার। গতকাল শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর দেরটার দিকে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনে বহন করে রওনা দেয়। নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায় দুপুর ২টার দিকে। আড়াই ঘন্টা চেষ্টার পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খুঁটির ওপরস্প্যান বসানো কোন প্রকার সম্ভব হয়নি,পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারণে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম স্থগিত রাখাহয়।
আজ রোববার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ২তম স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু করাহয়, এক ঘন্টা চেষ্টার পর বেলা সাড়ে ৯টার দিকে খুঁটির ওপর স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়। মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান বসানো হলো । এর আগো এ প্রান্তে দুটি স্প্যান বসানো হয়েছিল মোট স্প্যান দৃশ্যমান এখন তিন টি।
গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ৫টি স্প্যান সেতুর খুঁটির ওপর বসানোর লক্ষ্যধারা ছিল। ওই সময় নদীর মাওয়া প্রান্তে মূল পদ্মায় প্রচন্ড স্রোত থাকায় একটি স্প্যানও বসানো সম্ভব হয়নি সেতু কর্তৃপক্ষের।
এখন পদ্মানদীতে বন্যার পানি কিছু টা কমে যাওয়া একই সঙ্গে পানির স্রোত ও তীব্রতাও স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আশার ফলে গতি ফিরেছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে মাওয়া প্রান্তে । সবশেষ গত ১০ জুন জাজিরা প্রান্তে ৩১তম স্প্যানটি বসানো হয়েছিল। এরপর ২৪ জুন ৩২তম স্প্যানটি বসানোর কথা থাকলেও নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে স্প্যান বসানোর কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। ৩১তম স্প্যান বসানোর ৪ মাস পর এই স্প্যানটি বসানো হলো। তবে মাওয়া প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান বসানোর দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে অনেক আগে ভাগেই ।
পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান বসানোর পর মূল সেতুর অবকাঠামোর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪ হাজার ৮শ মিটার যা “ প্রায় ৫ কিলোমিটার। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে মোট ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি। আর ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।
কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে, দ্বিতলবিশিষ্ট,পদ্মা সেতু। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য, ও ৭২ ফুট, ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটর প্রস্থ, ৬০ ফুট উচ্চতা, মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি, চার লেনের সড়ক এবং নিচের তলায় থাকবে গ্যাস , বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার ট্রেন লাইন,সংযোগ, ভায়াডাক্ট পিলার ৮১টির উচ্চতা হবে ৬০ ফুট, গভীরতা পাইলিং ৩৮৩ ফুট, মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি, প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং হবে ৬টি, মোট পাইলিংয়ের সংখ্যা ২৬৪টি, সংযোগ সড়ক এবং নদীশাসন জাজিরা ও মাওয়া দুই প্রান্তে ১৪ কিলোমিটার,
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।