মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ মাওয়া মুন্সীগঞ্জ।
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৩৫তম স্প্যান বসাতে গিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছেছিল সেতু কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসের ৩০ অক্টোবর ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের ওপর ২-বি নামের স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল।
কিন্তু খরস্রোতা পদ্মা নদীর এই দুই পিলারের নিচে আকস্মিক নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে।এমতাবস্থায় ৩২শ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে পিলারের কাছে যেতে সম্ভব না স্প্যানবাহী ক্রেন ‘তিয়ান-ই’। অপেক্ষা নির্দিষ্ট স্থানে ড্রেজিং তাই নাব্য সংকট নিরসনে নির্দিষ্ট স্থানে ড্রেজিং কাজ অব্যাহত রয়েছে।
স্প্যানবাহী ক্রেন ‘তিয়ান-ই স্প্যানটি নিয়ে পিলারের কাছে যেতেসক্ষমতা রয়েছে।বাধা অতিক্রম করে ..আগমিী কাল শনিবার (৩১ অক্টোবর) আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেপদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৮ ও ৯ নম্বার পিলারের ওপর বসানো হবে ৩৫নং স্প্যান। ৩৫ তম স্প্যান বসানো হলে দৃশ্যমান হবে ৫২৫০ মিটার ৫.২৫ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৩৪নং স্প্যান বসানোর পর বর্তমানে সেতুর ৫১০০ মিটার বা ৫.১০ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর ৩৫তম স্প্যান স্থাপনের লক্ষ্যে। শনিবার সকালে ৯ টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় অবস্থিত কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে স্প্যানটি নিয়ে সেতুর উদ্দেশে রওনা দিবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রেন তিয়ান-ই- স্প্যানবাহী ভাসমান এ ক্রেনের মাধ্যমে নির্ধারিত পিলারের কাছে ।
যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে দিনের আলোর মধ্যেই পিলারের ওপর স্প্যনটি বসিয়ে দেওয়া হবে।উল্লেখ্য, এই মাসের ১১ অক্টোবর ৩২ তম, ১৯ অক্টোবর ৩৩ তম, ২৫ অক্টোবর ৩৪ স্প্যান বসানো হয়েছে। পদ্মা সেতুতে ৩৫নং স্প্যান বসানো হলে বাকি থাকছে ৬টা স্প্যান বসানো। তাও আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সবগুলোই স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছেকর্তৃপক্ষের।২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্যদিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ৩৪টি স্প্যান।প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। পদ্মা সেত নির্মাণ করা হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ । এর মধ্যে সবকটি পিলারে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে মাথা উচুঁ করে দাড়িয়ে আছে পদ্মার বুক চিরে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন গ্রুপ লিমিটেড। বহুমুখী এই সেতুর মূল আকৃতি হবে দ্বীতল যা কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। পদ্মার সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হচ্ছে। বর্তমানে সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯০ ভাগেরও বেশি।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।