নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশের জলাশয় ও নদী অববাহিকায় মৎস্যসম্পদের জন্য ক্ষতিকর বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চট জাল, টং জাল ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের ডিম, রেণু ও পোনা বিনষ্ট হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে দেশের মৎস্যসম্পদের উৎপাদন। তাই মৎস্যসম্পদ রক্ষায় এসব অবৈধ জাল ধ্বংসে আগামী জানুয়ারি থেকে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার ও মুন্সীগঞ্জে দুই ধাপে অভিযান চালাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে বেহুন্দি ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল অপসারণে বিশেষ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সার্বিক দিকনির্দেশনায় নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযান সমন্বয়ের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের মনিটরিং টিমও কাজ করবে।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন নদী, উপকূল, মোহনায় বেহুন্দি জাল, চট জাল, মশারি জাল, জগৎবেড় জাল, কারেন্ট জালসহ সব প্রকার অবৈধ জালের ব্যবহার যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে কোনোভাবে দেশের মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।