মতিন রহমান, মাগুরা থেকে:
কৃষি কাজ করে নিজের ভাগ্য ফিরিয়েছেন মাগুরার হাজরাপুর গ্রামের কৃষক মোঃ রবিউল ইসলাম (৩০)। নিজের আগ্রহ আর একাগ্রতার কারণে তিনি এখন সফল কৃষক। নিজের সফলতার পাশাপাশি আরো অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। পরিচিতি পেয়েছেন চাষী ভাই হিসেবে। বিভিন্ন লোকেরা তাকে কলদিয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফ্রিতে পাচ্ছেন কৃষিসেবা। এসব কাজে তাকে দেখে অনুপ্রাণীত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া উপকৃত হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার লোকেরাও। তরুণ চাষী রবিউল ইসলাম মাগুরার হাজরাপুর গ্রামের মোঃ শরিফুল ইসলামের ছেলে। তিনি ফরিদপুর কৃষি কলেজ থেকে কৃষিতে ডিপ্লোমা পড়াশোনা করেন পরে ২০১৭ সালে কৃষিতে স্নাতক পাস করেন। অনেক দিন ধরে চাকরির পিছনে ছুটেও চাকরির দেখা না পাওয়ায় লেগে থাকেন কৃষিতে। হাতে তুলে নেন তার পিতার তৈরি’ হাজরাপুর নার্সারি কৃষি ও দুগ্ধ খামার’। প্রজেক্টটি তার পিতা শরিফুল ইসলাম ১৯৯৯ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু করেন। প্রজেক্টটি এখন রবিউল ইসলামের হাত ধরে প্রায় ১০একর জমিতে উন্নীত হয়েছে। আর দেখছেন লাভের মুখও। তার বাগানে এখন চাষ হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পেয়ারা, আম, কুল, লিচু, লেবু, মাল্টা, নালিম সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল। রয়েছে একটি দুগ্ধ খামারও। নিরাপদ ফল, দুধ উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ তাদের প্রজেক্টর মূল উদ্দেশ্য বলে জানায় চাষী রবিউল ইসলাম। তিনি এখন নিজের শ্রম আর একাগ্রতায় সফল কৃষক। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, রবিউল ইসলামের মতো কৃষিতে আগ্রহী লোকেদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে দেশের কৃষি। তাই তাকে বিভিন্ন রকম সহযোগিতার কথা জানায় কৃষি বিভাগ। এদিকে কৃষি বিভাগের পরিপূর্ণ সহযোগিতা পেলে এই প্রজেক্টকে আরো এগিয়ে নিতে পারবে বলে জানায় চাষী রবিউল ইসলাম।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।