মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জে কৃষকের বন্ধকী জমি ফেরত না দিয়ে উল্টো ফসল পোড়ানোর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামানন্দ গ্রামে। সেখানে কৃৃষক মৃত আব্দুল ফকিরের একবিঘা জমি জোর করে দখল করে হয়রানি করার অভিযোগ একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ওহাব খন্দাকারের ছেলেদের বিরুদ্ধে।
সরেজমিন ঘুরে জানাগেছে বিগত ২৫ বছর আগে মাত্র ৯ হাজার টাকার বিনিময়ে ৩৬ শতাংশ কৃষিজমি বন্ধক রাখেন সিরাজদিখান উপজেলার রামানন্দ গ্রামের ওহাব খন্দকারে কাছে একই গ্রামের মৃত আব্দুল ফকির। জমি বন্ধক রাখার ৩ বছর পরে মারাযান জমির মালিক আব্দুল ফকির। তার পর থেকে জমিটি ছাড়িয়ে আনতে একাধিকবার দেন দরবার করেও বুঝে পান নি তার ছেলে কামাল। এর মধ্যে জমির প্রকৃত মালিক জমির খড়কুটো পুড়িয়ে জমি পরিস্কার করে নিজেদের জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে জমিটি দখলে রাখা সাবেক ইউপি সদস্য ওহাব খন্দকারের ছেলে জামাল খন্দকার,হাবিবুল্লাহ খন্দকার ও রবিউল্লাহ খন্দকার বাঁধা দেন। পরে সিরজাদিখান থানায় জমির মালিকদের বিরুদ্ধে উচ্ছে ও ঝিঙ্গে ফসল পোড়ানোর অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সরেজমিন ঘুরে উক্ত জমিতে খড়কুটো ছাড়া উচ্ছে বা ঝিঙ্গে ফসলের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।জোর করে জমি দখলে রাখার চেষ্টা ও হয়রানির জন্য মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে জানিয়ে জমির মালিক মৃত আব্দুল ফকিরের ছেলে কামাল বলেন,আমার বাবা মাত্র ৯ হাজার টাকায় জমিটি বন্ধক রেখে ছিলেন তার পর থেকে আমরা একাধিকবার জমিটি ফেরত চেয়ে দেনদরবার করেও পাচ্ছিনা। উল্টো আমাদেরকে হত্যাসহ নানান ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে ওহাব মেম্বারে ছেলেরা। এর মধ্যে একটি মিথ্যা অভিযোগও দিয়েছে। জমি নিজেদের দাবী করে ওহাব মেম্বারে ছেলে হবিবুল্লাহ খন্দকার বলেন,এই জমিটি আমার বাবা ওহাব খন্দকারের কাছে আব্দুল ফকির বিক্রি করেন তবে লিখে দিতে পারেন নাই। জমিতে কোনো ফসল নেই আলু উত্তোলনের পরে খড়কুটো পোড়ানো হয়েছে ফসল পোড়ানোর অভিযোগ করলেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আপনার দেখেন নাই ওখানে ফসল ছিলো ভুল দেখেছে বলে তারাহুরা করে ফোন কেটে দেন। এব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার এস আই রিমন বলেন,আমরা সরেজমিনে পোড়ানোর দৃশ্য দেখেছি সেখানে ফসল পাইনি। তবে অভিযোগের বাদী বিবাদীদের ডেকেছি এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলাচ্ছি। তদন্ত শেষ ঘটনাটি বিস্তারিত বলা যাবে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।