বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া যাওয়ার সময় পদ্মাসেতু অতিক্রম করতে গিয়ে প্রবল স্রোতের মুখে পড়ে ফেরিগুলো। দুর্ঘটনা এড়াতে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি। ঘাটের টার্মিনালে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের পাটুরিয়া রুট ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হলে, বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতেই ট্রাকগুলো বাংলাবাজার ঘাট ত্যাগ করে।  মাদারীপুর থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী মো. কামাল বলেন, সকালে ঘাটে এসে দেখি ফেরি বন্ধ। কবে চলবে তা নিশ্চিত না। এখন অন্য রুট দিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছি। এদিকে, বরিশাল থেকে আসা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের চালক করিম মিয়া  বলেন, ফেরি বন্ধ জানা ছিল না। এখন রোগী নিয়ে আবার পাটুরিয়া ঘাটে যেতে হবে। অনেকেই ঘাটে এসেছিলেন। এখন ফিরে যাচ্ছেন। ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই নৌরুট দিয়ে আসা যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে অনেকেই ফেরিতে পার হতেন,তারা বিপাকে পড়েছেন। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটের দূরত্ব বেশি হওয়ায় দুর্ভোগে এই রুট ব্যবহারকারীরা। এদিকে, লঞ্চে যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে । তবে স্বাভাবিক সময়ের মতোই যাত্রীরা যাচ্ছেন লঞ্চে। ফেরি বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত কোনো চাপ নেই লঞ্চে।  সরেজিমনে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাবাজার ফেরিঘাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ঘাটেই নোঙর করে রাখা আছে ফেরিগুলো। পদ্মায় পানি বেড়ে ঘাটের পন্টুনের পথ তলিয়ে গেছে। ফেরিতে ওঠার পথে ইট দিয়ে স্বাভাবিক করা হচ্ছে। এছাড়া ঘাটের টার্মিনাল ফাঁকা রয়েছে। গত বুধবার রাত থেকেই পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বিকল্প রুট দিয়ে পার হবার জন্য বাংলাবাজার থেকে চলে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘাটে আসা অ্যাম্বুলেন্স, ছোট ট্রাক, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ফিরে যাচ্ছে। ফেরি বন্ধ থাকায় বাংলাবাজার ফেরিঘাট এলাকা সুনসান অবস্থা বিরাজ করছে।    বিআইডব্লিউটিসির শিমমুলিয়া  ফেরিঘাটের মেরিন অফিসার আহম্মেদ আলি বলেন, বুধবার দুপুর থেকে বন্ধ রয়েছে ফেরি। আমরা ঘাটে আসা সব যানবাহনকে বিকল্প নৌরুট ব্যবহারের জন্য বলে দিচ্ছি

ঘাট এলাকায় ছোট বড় মিলিয়ে ৩শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে ।