মাওয়া মৎস্য আড়তের সেক্রেটারি মোঃ চাঁন মিয়া মাদবর, বলেন গত কাল থেকে ভোর রাতে যেভাবে আড়তে ইলিশ এসেছে তাতে বোঝা যাচ্ছে পদ্মা ইলিশে ভরপুর রয়েছে এবছর । ইলিশে ভরে গেছে আড়ত। পাইকারদের পাশাপাশি সৌখিন ক্রেতারা ও আসছে বহু তবে, কেউ খালি হাতে যাই নাই সবাই ইলিশ নিয়া গেছে ।তিনি আরও বলেন আজকে অনেক ক্রেতা থাকায় মাছের দাম বেশি। ক্রেতারা এতদিন ধরে ইলিশ কিনতে না পেরে আজকে আশা করে আসছে ইলিশ কিনবে তাই দামও চড়াও । এরই মধ্যে মাওয়ার ঐতিহ্যবাহী এই মাওয়া মৎস আড়ত টি সরিয়ে নিতে হবে ৫ নবেম্বরের মধ্যে, পদ্মাসেতুর কাজের জন্য সেতু বিভাগ আড়তটি শরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আড়ত দাররা। মাওয়া মৎস্য আড়তের আড়তদার মোঃ আ মজিদ শেখ ও হামিদুল ইসলাম জানালেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে এখানে আড়তটি রয়েছে। আমারা সরকারের থেকে লিজ নিয়ে এখানে আড়তদারি করছি দীর্ঘদিন। গেল প্রায় ৫বছর হয় পদ্মা সেতুর নদী শাসনের জন্য আমাদের মৎস্য আড়তটি একোয়ার করে। ২শ” মিটার উত্তরে অস্থাই জায়গায় আড়িত টি চালিয়ে আসছি ।হঠাৎ করে আমাদের ১৫ দিন সময় দিয়ে ৫ নবেম্বরের মধ্যে উঠে যেতে বলেছে। আমাদের এত বড় একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ১৫ দিনের মধ্যে কিভাবে উঠে যাবে, আমরা বুঝতে পারছি না হিমশিন খাচ্ছি।আড়তদার রা আরো জানানা আমাদের সাথে সমন্বয় করে আমাদের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়ার সময় দিয়ে আমাদের অন্য কোথাও ট্রান্সফার করুক রাজি আছি আমরা পদ্মাসেতুর পক্ষে আমরা সেখানে যেতে মানা নেই,প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে এই কাঁচা মাছের আড়তে কর্মসংস্থান কমপক্ষে ৬ হাজার লোকের। ঝাঁকে ঝাঁকে এমন পদ্মার ইলিশের সয়লাভ হওয়ায় প্রাণ ফিরেছে এখানকার জেলে ও আড়তদারদের মুন্সীগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য, বলছে, গেল মৌসুমে ১৯শ’ ৭২ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। এ বছর এর চেয়েও বেশি ইলিশ উৎপাদনের আশা করছেন তারা। মাওয়ায় বড় ইলিশ ১৩ শ’ থেকে ১৫ শ’ টাকায়, এক কেজির ইলিশ ১০০০ থেকে ১২শ’ টাকায়, ৭শ’ থেকে ৮শ’ গ্রামের ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ৪শ’ থেকে ৫শ’ গ্রাম ইলিশ ৬শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।গত বছরের চেয়ে এবার বেশি অভিযান চালানো হয়েছে। তবে ইলিশ নিধনের দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে গত বছরের চেয়ে অনেক কম সংখ্যক জেলেকে।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এ বছর ২২ দিনে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সফলতা ৮০ ভাগের বেশি হবে। এ বছর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও মেঘনায় বেপরোয়াভাবে ইলিশ নিধন করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের সব সময় নজরদারিতে রাখা হয়েছে ।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।