মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ ,শ্রীনগর- মুন্সীগঞ্জ
দেশের বহু আলোচিত মাওয়া মৎস্য আড়তটিতে প্রতিদিন বেচা কেনা শুরু হয়ে থাকে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্য়ন্ত।প্রায় তিন যুগের ও বেশি প্রতিষ্ঠিত পদ্মা পাড়ের মাওয়া মৎস আড়ৎ টি এ ছাড়া পাইকারী বাজার নামেও রূপলাভ করেছে অনেক আগেই।সুর্য উঠার আগেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ ব্যবসায়ীরা মাছ বিক্রি ও কেনার জন্য ছুটে আসেন, তেমনি ঢাকাসহ দূর দূরান্তের পাইকারাও খোব ভোরে মাছ কিনতে আসেন এখানে। তবে আড়তের সদস্যরা,সূর্য্য উদয় থেকে অর্ধবেলা পর্যন্ত করে থাকেন প্রায় হাজার লোকেরা ক্রয়-বিক্রয়। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খ্যাত পদ্মার পাড়ে প্রতিদিনের মত জমে উঠে এআড়ৎটি আজ বুধবার ভোররাতে লৌহজং উপজেলার ডহড়ি গ্রামের মোঃ কামাল মাঝি নামের এক জেলের নৌকা জালে ৪০ কেজি ওজনের এ মাছটি ধরা পরে।
প্রতিদিনের মতোই মধ্যরাত থেকে মাঝপদ্মায় নৌকা নিয়ে জাল ফেলেন তিনি। এ সময় ভোর রাতের দিকে হঠাৎ করে জালে, আটকা পড়ে একটি বাঘাইর মাছ। এক পর্যায়ে মৎস্য শিকারীরা বহু কষ্টে মাছটি টেনে নৌকায় তুলতে সক্ষম হন ।পরবর্তীতে সকাল ৬টায় মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে মাওয়া ঘাটের শ্রী নাদিম মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন।
এ সময় উৎসুক জনতারা ঐ আড়তে ভীড় জমায়। আড়তে ৪০কেজি ওজনের এ মাছটির দাম ওঠে ৩৪ হাজার টাকা। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু টাকা লাভের আশায় খুচরা বিক্রেতারা মাছটি ডাকে কিনে নিয়ে,ঢাকার পাইকারদের কাছে দুই হাজার টাকা লাভে অর্থাৎ ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানান মৎস্য আড়ৎতের পাইকারী ওই বিক্রেতা মো. জালাল মৃধা। তিনি জানান, এ সাইজের বাঘাইর মাছ সচরাচর পদ্মায় মেলেনা।
দীর্ঘদিন ধরে আড়তে এ সাইজের বাঘাইর মাছ আমরা দেখিনি। সংশ্লিষ্টরা বলেন মাওয়া ঘাটে ৩৬ হজার টাকা বিক্রি হওয়া পদ্মার বাঘাইর অবিশ্বাস্য হলে এই খানে পঞ্চম বারের মত এটি ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর আগেও ৪৯ কেজি ৯শ গ্রাম ওজনের একটি বাঘাইর মাছ বিক্রি হয়েছে এ আড়তে ৪১ হাজার টাকায় ।
লৌহজং উপজেলা মৎস কর্মমর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান,নদীতে পানি কমতে থাকায় নদীতে প্রতি বছরের মতো নানা প্রজাতির মাছ এ সময়ে ভেঁষে আসেন সাগর থেকে এবংপদ্মায় বিভিন্ন পয়েন্টে পানির গভিরতা থাকলে সেখানে আশ্রয়নেন বড় বড় মাছগুলো আর আসা যাওয়ার মাঝে ধরা পরেন জেলের জালে। এদিকে দাম সর্ম্পকে সংশ্লিষ্টরা বলেন দুর্লভ পদ্মার বাঘাইর বড় আকারের মাছ হওয়ায় দাম এরকম হওয়ার একটাই কারণ।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।