1. rezaulalam000@gmail.com : সময় বাংলার :
  2. jmitsolution24@gmail.com : JM IT SOLUTION : JM IT SOLUTION
পদ্মা নদীকে নালা দেখিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা | সময় বাংলার
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ... ||
সিরাজদিখানে ১৫ বছর ধরে স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার ক্ষমা রানী দে! দেখার কেউ নেই সিরাজদিখানে উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং সিরাজদিখানে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবদল নেতার উপর হামলা সিরাজদিখানে সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ! সিরাজদিখানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন টেটাবিদ্ধসহ আহত ১ ২বাড়িঘর ভাংচুর সিরাজদিখানে ইউপি সদস্য শাহিন সরদারের সংবাদ সম্মেলন ১৮ বছর পর সিরাজদিখানে জামায়েত ইসলামীর কমী সন্মেলন সিরাজদিখানে বালুচর থানা পুলিশ এর আয়োজনে মতবিনিময় সভা সত্যিকারের দেশপ্রেমের দায়বদ্ধতার বোধ সৃষ্টি হয়েছে মুন্সীগঞ্জে জাকের পার্টির মহাসচিব সিরাজদিখানে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার মুন্সীগঞ্জের ইয়াবা গাঁজা ও ফেনসিডিল সহ ৩০৮ মামলার আলামত ধ্বংস শ্রীনগরে রোটারী ক্লাব অফ বিক্রমপুর এর আয়োজনে ফ্রী  মেডিক্যাল ক্যাম্প সিরাজদিখানে তারেক রহমানের নির্দেশে প্রতিনিধীদলের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন সিরাজদিখানে শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ্’র প্রতিনিধীদল পূজা মন্ডপ পরিদর্শন সিরাজদিখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গোৎসব-জ্ঞানদীপ ঘোষ শারদীয় দূর্গাউৎসবে সনাতন ১৯৯৮- ২০০০ গ্রুপের বন্ধদের উপহার বিতরণ সিরাজদিখানে উপজেলা প্রশাসনের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন বালুচর বাজারে শান্তিপূর্ণ ভাবে ব্যবসা করতে সভাপতি হিসেবে সৈয়দ আমির হোসেনকে চায় সিরাজদিখানে থানায় হামলা অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের মামলায় আরো দুই আসামী গ্রেফতার সিরাজদিখানে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ! সিরাজদিখানে পদ্মহেম ধামে শরতের বিকালে সাঁইজীর বাণীর আসর অনুষ্ঠিত শ্রীনগরে প্রভাব খাটিয়ে মসজিদে অবৈধ কমিটি গঠন এলাকার মুসুল্লিদের নিন্দা সিরাজদিখানে ১২৮ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে পোশাক বিতরণ ভারতে ইসলাম ধর্ম এবং রাসূল (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে নিমতলায় প্রতিবাদ সমাবেশ সিরাজদিখান থানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারগারে সিরাজদিখানে বুকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা ছিনতাই চেষ্টা সিরাজদিখানের কোলা ইউনিয়নে ২৮৫ জনকে টিসিবি’র পন্য বিতরণ শ্রীনগরে একাধিক মামলার আসামী এমারত শেখ ওরফে এমারত চৌকিদার গ্রেফতার সিরাজদিখানে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলায় আহত-৫ সিরাজদিখানে পূর্ব শত্রুতার জেরে ভাংচুর ও  ২০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট

পদ্মা নদীকে নালা দেখিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা

  • সময় বাংলার || শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২, ১২.২৬ পিএম
পদ্মা নদীকে নালা দেখিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা
পদ্মা নদীকে নালা দেখিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা

পদ্মা নদীকে নালা দেখিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা


শিবচর -মাদারীপুর, প্রতিনিধিঃ

পদ্মা নদীকে নালা দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছিল দালাল চক্র। প্রশাসন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও সচেতন মহলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সেটি ভ-ুল হয়েছে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ ও সরেজমিন তদন্তে ধরা পড়ে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের এ অনিয়ম। এর ফলে পদ্মা সেতুর নদীশাসন প্রকল্পের ৪৬০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।  স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবির মাধ্যমে দেখা যায়, মাদারীপুরের শিবচরের একটি মৌজায় মাত্র ৩১ একর জমি নালা রয়েছে। কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে আরও ১৯৫ একর জমি নদীকে নাল দেখিয়ে বিল উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়। আর এ অনিয়ম রোধ সম্ভব হয়েছে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনসহ প্রশাসনের উদ্যোগে এবং চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর কঠোর অবস্থানের কারণে। 

জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প থেকে নদীশাসন প্রকল্পের সুবিধার্থে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি পদ্মা নদী তীরের শিবচরের ছয়টি মৌজায় ২২৬.২৭ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। এরই মধ্যে ৫নং মাদবরচর মৌজায় ২৬ দশমিক ১৪ একর নাল, ৯৭নং দক্ষিণ চরজানাজাত মৌজায় ৪২ দশমিক ৪৮ একর নাল, ৯৫নং বড় কেশবপুর মৌজায় ২০ দশমিক ৫০ একর নাল, ৯৬নং কাঁঠালবাড়ী মৌজায় ১০৮ দশমিক ৭৪ একর নাল, ৯৪নং বাঘিয়া মৌজায় ২৫ দশমিক ৫০ একর নাল, ১০০নং ভাষালদি মৌজায় ২ দশমিক ৯১ একর  জমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত জমি নদীসংলগ্ন হওয়ায় ও অনেক জমির রেকর্ডীয় শ্রেণি নদী হওয়ায় এডিলাইনের মাধ্যমে নদীর জমি চিহ্নিত করে খাস খতিয়ানে আনার জন্য তৎকালীন সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যেই প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় থেকে প্রস্তাবিত ২২৬.২৭ একর জমির সম্ভাব্য প্রাক্কলিত মূল্য প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেলা প্রশাসন থেকে প্রস্তাবিত জমির কিছু নদীতে বিলীন, কিছু জমি নাল শ্রেণি ও ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রকৃতপক্ষে কতটুকু জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন তা উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালককে আবার দেওয়া হয়। তবে সম্পূর্ণ জমি নদীশাসনের এলাইনমেন্টের মধ্যে থাকায় ২২৬.২৭ একর জমি সেতু কর্তৃপক্ষের নামে মালিকানায় আনার জন্য জেলা প্রশাসনকে আবারও অনুরোধ করে পদ্মা সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সালের মার্চে সংশ্লিষ্ট যাচাই কমিটি জেলা প্রশাসনের কাছে অধিগ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে ‘খাস জমি’ ও ‘নদী’ শ্রেণির বিষয়টি উঠে আসায় যৌথ তদন্তকালে নাল ও নদী শ্রেণি চিহ্নিত করে বাস্তব শ্রেণিভিত্তিক ফিল্ড বই প্রস্তুত করার জন্য সুপারিশ করা হয়। ইতিপূর্বে কিছু জমি অধিগ্রহণ হওয়ায় ০.১৪ একর জমি বাদ দিয়ে ২২৬.১৩ একর অধিগ্রহণের ও ৪ (১) ধারায় নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা চূড়ান্ত করা হয়। ওই টাকা প্রত্যাশী সংস্থা থেকে জেলা প্রশাসকের অনুকূলে জমা করা হলে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অন্যান্য এলএ কেসে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ২২ হাজার ৭৭৩ টাকা সমন্বয় করে ৫৪৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা অবশিষ্ট থাকে।  ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পত্র স্বাক্ষরিতসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরপরই বর্তমান জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সরকারের ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প হওয়ায় জেলা প্রশাসক সরেজমিন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয়রা জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি করেন সমগ্র প্রকল্প এলাকা বাস্তবে নদী শ্রেণি হলেও ড্রেজিংয়ের ফলে নাল জমি নদী শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা দালাল শ্রেণির সহায়তায় প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে তোড়জোর ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বিষয়টি নিয়ে জমি সংক্রান্ত জটিলতা ও সন্দেহ দেখা দিলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) প্রধান করে নয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসককে স্থানীয় সংসদ সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী পূর্ণ সমর্থন দেন। সংসদ সদস্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান কর্মকর্তাদের।  তদন্ত কমিটি ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রস্তাবিত জমির নাল ও নদী শ্রেণি স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ ও চিহ্নিত করে মৌজাভিত্তিক নকশা ও স্ক্র্যাচম্যাপ প্রত্যাশী সংস্থার কাছে চায়। কয়েক মাস পর প্রত্যাশী সংস্থা সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস)-এর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করে জিওরেফারেনসিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল জিআইএস ম্যাপ প্রস্তুত করে সেই মোতাবেক স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে অধিগ্রহণের এলাইনমেন্ট যুক্ত দাগগুলোর শ্রেণি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।  ডসইজিআইএস-এর প্রতিবেদনে অধিগ্রহণের প্রস্তাবকৃত ছয়টি মৌজার মধ্যে শুধু কাঁঠালবাড়ি মৌজায় ৩০.৮০ একর নাল ও ০.২৫ একর জমি ডোবাসহ মোট ৩১.০৫ একর নাল জমির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। অপর পাঁচটি মৌজার ১৯৫.০৮ একর নদী শ্রেণি হিসেবে পাওয়া যায়। তদন্ত কমিটি পুনঃ যৌথ তদন্ত ও ফিল্ডবুক সম্পন্ন করে চূড়ান্ত দাগসূচি প্রস্তুত করে। পরে বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট জমির মালিককে ৭ ধারার নোটিশ দেওয়া হয়। কোনো আপত্তি না থাকায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৯৩ কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার ৬৯৩ টাকা চূড়ান্ত করা হয়। এতে করে জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারের ৪৬০ কোটি ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০৭ টাকা সাশ্রয় হয়।  তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঝোটন চন্দ বলেন, তদন্ত কমিটিতে সেনাবাহিনীর সিএসই ইউনিট, রেলওয়ে, গণপূর্ত বিভাগ, বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ সমন্বয়ে তদন্ত করে। স্যাটেলাইট ইমেজ ছাড়াও সরেজমিন পরিদর্শনসহ বিভিন্ন উপায়ে মূল ড্রেজিংকৃত জায়গা শনাক্ত করা হয়। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।  মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, আমার কাছেও স্থানীয়রা দাবি করেন যে নাল জমি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী করা হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে সবই নদী দেখতে পাই। তাই আমি পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে অধিগ্রহণ করা জমি প্রথম প্রস্তাবের সময়ের স্যাটেলাইট ছবি চাই। দাগভিত্তিক জমির শ্রেণির বিবরণ চাই। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সিইজিআইএস-এর মাধ্যমে এটি জরিপ করিয়ে স্যাটেলাইট ইমেজসহ আমাদের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। সেখানে দেখা যায় মাত্র ৩১.০৫ একর জমি নাল ও ডোবা। বাকি জমি নদী শ্রেণির। তাই নদী শ্রেণির জমি অধিগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। তাই প্রকল্পের মূল্য ৫৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৯৩ কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার ৬৯৩ টাকা চূড়ান্ত করা হয়। এতে করে জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারের ৪৬০ কোটি ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০৭ টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়।  জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়ার সব বিষয় উপজেলা প্রশাসন খুব বেশি অবগত নয়। জেলা প্রশাসক আমাকে অনিয়মের কথা জানালে তখন আমি তাকে বিষয়টি ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বললাম। তারা প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার একটি অনিয়ম পেয়েছে। বিপুল পরিমাণ সরকারের এ অর্থ সাশ্রয় হওয়ায় জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনকে ধন্যবাদ।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন ||

আরও সংবাদ ||

                            @  SOMOYBNGLAR # কোনো লেখাছবিভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য

.