শিমুলিয়ায় ঈদযাত্রায় বাড়তে শুরু করেছে যানবাহনের সঙ্গে যাত্রী ভোগান্তি।
রুবেল ইসলাম তাহমিদ শ্রীনগর মুন্সীগঞ্জ।
ঈদ বাকি রয়েছে আরো ৭দিন এরমধ্যেই যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে প্রতিবছরের মতো ঘর মুখো মানুষ সহ যানবাহনের বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোগান্তি এড়াতে আগেভাগেই এ নৌরুট হয়ে গ্রামের পথে ছুটছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ঈদযাত্রায় ফেরিতে ঘরমুখো মানুষ।মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে শত শত গাড়ির সাড়ি দেখা মিলেছে।যানবাহন পারাপারে নৌরুটে ২টি কে টাইপ ফেরি,২টি ছোট রোরো, ২টি ডাম্প ফেরি সহ মাত্র ৮টি ফেরি এ ঘাটে সচল রয়েছে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা, রোগী ও শিশুরা পড়েছেন বেশি বিপাকে।
বিপুল সংখ্যক যানবাহনের বিপরীতে ফেরির অপ্রতুলতায় পারপারে বেশি সময় লাগছে।লঞ্চ ও স্পিডবোটঘাটে যাত্রী উপস্থিতি কম রয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে শরীয়তপুরগামী যাত্রী স্বজলের সঙ্গে কথা হয় তিনি বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে কয়েকদিন চলা চলে ভোগান্তি হয় খোব বেশি তাই আগে ভাগেই এবার বাড়ি যাচ্ছি। সকাল থেকে শত শত গাড়ি ঘাটে এগুলো কখন ফেরিতে উঠবো বলা মসকিল জানান আরেক যাত্রি হোসাইন মালেক। কম করে হলেও ১৫টি ফেরি সচল হলে যাত্রী দুর্ভোগ কম হবে বলে মনে করেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা। গত বছর ১৬-১৭টি ফেরি ছিলো চলাচলে তাতেও মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে । ঘাটে এ বছর ভারী যানবাহন এ নৌরুট দিয়ে পার হচ্ছে না। কিন্তু এখনো মানুষের চাপ পুরোপরি পড়েনি। এখনই যদি এমন সমস্যা হয় তাহলে ঈদের আগেতো মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না ঘাটে। এখানে এবারও কমপক্ষ ১৬টি ফেরি সচল হলে যাত্রীর চাপ কিছুটা সামাল দেওয়া যেতে পারে হয়তো।বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা দেখলে ভালো হতো ।এদিকে ঘাট সংশ্লিষ্ট ফেরি ও লঞ্চ চালকরা বলছেন, রাতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি বন্ধ থাকায় সকালের দিকে যানবাহনের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়।দুপুর থেকে চাপ কমে আসে যেহেতু যানবাহনের সঙ্গে বাড়ছে ভোগান্তি এখন থেকে চোখে পরার মতো শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মেরিন- আহমেদ আলি জানান, ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় বর্তমানে দেড়/২ শতাধিক যানবাহন অপেক্ষামান রয়েছে।পর্যায়ক্রমে এসব যানবাহন পারাপার করা হবে সিরিয়াল মোতাবেক।এদিকে ঘাটে ফেরির পাশাপাশি দুই নৌরুটে ৮৭ টি লঞ্চ ও ১৫৩ স্পিডবোট সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলাইমান হোসেন।ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট ২৪ ঘণ্টা সচলের দাবি ফেরির যাত্রীদের। অনেকেই বলছে ভোর ৫টায় ঘাটে এসেছি ঘাটে ফেরিতে উঠতে লাগলো ৫ঘন্টা সময়, সঙ্গে আমার বাচ্চা আছে। কিছুক্ষণ পর পর গরমে কান্না করছে। আকবর হোসাইন বলেন, একেতো রোজার দিন, তার উপর ঘাটে প্রচুর গরম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে প্রচুর কষ্ট হচ্ছিল। বাংলাবাজার ঘাটে যদি রাতে ফেরি চলতো তাহলে এ ভোগান্তিতে আমাদের পড়তে হতো না।