ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের চাপ কমতে শুরু শিমুলিয়ায়।
রুবেল ইসলাম তাহমিদ, শিমুলিয়া মুন্সীগঞ্জ থেকে।
ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের চাপ কমতে শুরু শিমুলিয়ায়, দুপুরের আগেই খালি হয়ে যায় ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড বেশ অংশ মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমেছে। শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে ঘাট এলাকায় কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করে। ফাঁকা হয় ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড তিন টির অনেক টাই।বিগত কয়েকদিন পার্কিং ইয়ার্ডে দিনভর সারি সারি যানবাহন থাকলেও উল্টো চিত্র দেখা যায় আজ দুপুরে। সকালের দিকে কয়েকশ’ যানবাহন ছিল। তবে সকাল ১০টার পর থেকে কমতে শুরু করে চাপ।
বেলা ২টার দিকে ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড ব্যক্তিগত গাড়ি অনেকটা কম। বর্তমানে যেসব গাড়ি ঘাটে আসছে তারা সহজে ফেরি যোগে নৌপথ পাড়ি দিতে পারছে। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকায় পিকআপ, মিনিট্রাক পারাপার হতে দেখা যায়।এদিকে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে বেলা ১০টার দিকে দু্ফই ভাগে ফেরি দিয়ে পারাপার করেন বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের কর্তৃপক্ষ, ৩নং একটি ঘাট দিয়ে গাড়ি ও ২ ন! ঘাট দিয়ে যাত্রী, এতে ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের চাপ কমতে শুরু হয় ।বর্তমানে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি নৌরুটে বহরে ফেরি চলছে ১০টি। এর আগে ফেরি ছিল ৮টি গত মঙ্গলবার মিনি রোরো ফেরি বেগম রোকেয়া ও বুধবার ছোট ফেরি ফরিদপুর বহরে যুক্ত হয় তাতে সব মিলিয়ে ফেরি সংখ্যা ১০টি।আজ দুপুরে চাপ নেই শিমুলিয়ায় বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের ৯টি ফেরি ছিল। আশা করছি ১০টি ফেরি দিয়ে সব যাত্রীকে সুন্দরভাবেই পারাপার করতে পারবো। যেহেতু বাস-ট্রাক শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি রুটে পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রাইভেটকার, মাইক্রো এসব গাড়ি পারাপার হবে।
যাত্রীরা যদি লঞ্চ ব্যবহার করে এবং ছোট গাড়িগুলো আমরা ফেরিতে পারাপার করি সেক্ষেত্রে ঘরমুখো মানুষকে সুন্দরভাবে পারাপার করতে পারবো অনেক শৃঙ্খলা বোধ ভাবে।তিনি আরও বলেন, দিনের বেলা ১০টি ও রাতে সাতটি ফেরি চলাচল করতে পারবে ঈদের দিন পর্যন্ত । পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের মাস্টার আছে, মেরিন বিভাগ আছে, সেনাবাহিনী আছে, বিআইডব্লিউটি সি আছে। সবাই মিলে সোচ্চার আছি। সতর্কতার সঙ্গে ফেরি চালানো হবে। যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে।শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেইমান, গত কাল পাঁচটি লঞ্চ ও তিনটি স্পিডবোট বেড়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি দুই নৌরুটে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫ স্পিডবোট সচল রয়েছে।
যাত্রীর চাপ বাড়লেও সমস্যা হবে না। গত দুই বছর গ্রামের বাড়ি গিয়ে পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগিতে বাদ সেধেছিল করোনাভাইরাস। সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় এবার যেন একটু বাড়তি আনন্দ যুক্ত হয়েছে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে রাজধানী সহ অনে জেলার মানুষ যাচ্ছে শিমুলিয়া ঘাট হয়ে দক্ষিন বঙ্গে। আজ ঈদযাত্রার চথুর্থ দিনে ঘরমুখো মানুষের ঢল কমেছে দুপুরের পড়ে।