লৌহজংয়ে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি-অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
রুবেল ইসলাম তাহমিদ,মাওয়া ।
লৌহজংয়ে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ ট্রাক-আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫(পাঁচটার) দিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের কুমারভোগ চায়না প্রজেক্ট থেকে দেশি অস্ত্রসহ সাদা রংঙ্গের একটি দের টন ট্রাক-আটক করেন লৌহজং থানার পুলিশ। তবে এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তানভির হায়দার বলেন,
গত ২৭সে রমজান দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মাওয়া বাজার এলাকায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের চৌরাস্তায় সেতু মুখী লেনে একটি ব্যাটারির দোকানে আড়া আড়িভাবে রেখে সড়ক অবরোধ করে একটি চোর চক্র। দোকানের ৪টি তালা ভেঙ্গে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকার পরিমান অটো রিস্কার ব্যাটারি নিয়ে তারা লৌহজংপৌর সদর মুখি দিয়ে ঘুরিয়ে চালিয়ে নেয় চক্রটি। এসময় আশপাশের সিসিটিভিতে রেকর্ড থাকা ফুটেজে দেখাযায়, সেদিন রাতে চোরি বা ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত এ গাড়িটি”ই সাধারণ ভাবে মনেহচ্ছে যে পুলিশের কাছে আটক আজ।তবে ভিডিওতে চালক ও তাঁর সহকারীদের কে প্রাথমিক অনুসন্ধান করা যায়নি। চক্রটি তাঁরা বুঝতে পেরেছেন যে এখানে সি সি টিভি রয়েছে। সে সময় মুখে কাপড় দিয়ে ঢেকে অল্প সময়ে স্থান ত্যাগ করেন। ঘটনার পরদিন লৌহজং থানায় সাধারন ডাইরী করেন ওই ব্যবসায়ী তালা ভেঙ্গে ৬ লাখ টাকার ব্যাটারি চোরির বিষয়ে।পুলিশের ধারনা,মাওয়া, কুমাভোগ, লৌহজং, এলাকার একাধিক ব্যক্তি জড়িত এ চোর চক্রে।ঢাকা মেট্রো -ন ১৯-৫৫৭৯ নং এর সাদা ট্রাকটি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুইটি রামদা, একটি তালা ভাঙ্গার কাটার, একটি হাতুরি, ও একটি টিন কাটার প্লাস উদ্ধার করা হয়। এগুলোকে উর্ধতন কর্মকর্তারা যাচাই বাছাই করবেন, এর পর বলা যাবে বিস্তারিত। গাড়ি উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,সকালে উপজেলার কুমারভোগ চায়না প্রজেক্ট এলাকায় খালি ট্রাক টি ফেলে যায় চক্রটি এ ঘটনায় সন্ধ্যায় লৌহজং থানায় আটক ট্রাকটি দেখে প্রায় এক মাস আগের মাওয়া বাজার ব্যাটারির দোকানে চোরির সময় ব্যবহৃত এ ট্রাকটির সাথে অনেকটা ফুটেজে বেস মিল পাওয়া যায়। লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, সকালে ব্যবহৃত ট্রাক টি কুমারভোগ চায়না প্রজেক্ট এলাকায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় দেখে এলাকা বাসি পুলিশ কে খবর দিলে খালি অবস্থায় উদ্ধার করাহয়, গাড়িটিতে যে সকল সরঞ্জাম পাওয়া গেছে এ গুলো আসলে ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা হয় সাধারনত ধারনা।তবে বিষয়টি টের পেয়ে চক্র দল টি পালিয়ে যান, সেখানে কাউকে পাওয়া যায় নি ।