সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে পেলাষ্টিক ব্যবসায়ীর হাত ধরে এক সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রীর পলায়নের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রবাসীর শ্বশুর সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা জানাগেছে , উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামের আনোয়ার শেখের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (২৫) এর সাথে বাসাইল ইউনিয়নের ব্রজেরহাটি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান বেপারী মোঃ রতন (৩৫) সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিয়ের পর মোঃ রতন প্রবাসে পাড়ি জমালে তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তারের সাথে সিরাজদিখান বাজার ব্যবসায়ী বয়রাগাদী ইউনিয়নের গোবরদী গ্রামের মৃত আবদুল মতিনের ছেলে মাসুদের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে তাদের সাথে প্রায় সময় মুঠোফোনে কথপোকথন সহ দেখা সাক্ষাৎ হতো। তারা একে অপরের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলো।
সাদিয়া আক্তারের স্বামী মোঃ রতন গত ৬ অক্টোবর সাইপ্রাস থেকে দেশে ফিরে গত শুক্রবার স্ত্রীর সাথে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে স্ত্রীকে রেখে চলে আসেন। এর দুদিন পর গত রবিবার মোঃ রতন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পলায়নের খবর জানতে পারেন। সিরাজদিখান বাজার ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, পরকীয়া প্রেমিক মোঃ মাসুদ বাজার ব্যবসায়ী হওয়ার সুবাদে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্লাস্টিকের পন্য কেনার জন্য সাদিয়া আক্তারের নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। সে থেকেই তাদের সাথে পরকীয়া প্রেমের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের উভয়ের সাথে বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো মর্মে বাজার ব্যবসায়ীদের অনেকেই জানিয়েছেন। এব্যপারে ভুক্তভোগী স্বামী সাইফ্রাস প্রবাসী মোঃ রতন সাংবাদিকদের দারস্থ হয়ে অভিযোগ করে বলেন, ৬অক্টোবর আমি সাইপ্রাস থেকে দেশে এসে শুক্রবার বেড়াতে যাই। সে সময় আমার স্ত্রীর কাছে ৬-৭ ভরি স্বর্ণ ছিলো। তার কাছে আমার আগের রাখা নগদ তিন লাখ টাকা ছিলো। সে টাকার কোন হিসাব পাই নাই। আমি আসার পর ১ হাজার ইউরো তার ব্যাগে রেখেছিলাম। হাতের আংটি গলার চেইনসহ ডায়মন্ডের নাকফুলও ছিলো। পরে রবিবার সকালে সুনতে পারি সাদিয়া নাকি তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল্লাহ আল মাসুদের সাথে চলে গেছে। এ ব্যপারে কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা আনোয়ার শেখের কাছে তার মেয়ে সাদিয়ার পলায়নের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি মুখ খুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি এ ব্যপারে রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আবু সাঈদ বলেন,তারা আমার কাছে আসছিলেন। মেয়েকে না পেয়ে মেয়ের বাবা একটি জিডি করেছেন। ছেলে মেয়ে চলে গেছে এখন তাদের দুই পক্ষের কারোরই কোন অভিযোগ নেই। মেয়েকে এখনো পাওয়া যায় নাই।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।