জনগণের জীবনযাপন সুস্থ ও সুরক্ষা থাকলে আগামীতে দেশ এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।
সুইটি আক্তার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | মাদারীপুর | সময় বাংলার |
মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম মৌলিক চাহিদা হলো খাদ্য। মূলত আমাদের অস্তিত্ব খাদ্যের উপর নির্ভরশীল।তা-ই সুস্থ সবল জাতি গড়তে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একট বিষয়। ১৯৪৮-সালে জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ২৫/১ধারায় প্রত্যেক মানুষের খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ আছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৫(ক)ও ১৮(১)অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের সকল নাগরিকদের জন্য খাদ্যের চাহিদা পূরণ আবশ্যক। বলে গিয়েছেন,,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ১৯৯৬, সালে বিশ্ব খাদ্য শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত সংজ্ঞা অনুযায়ী সকল সময়ে সকল নাগরিকের কর্মক্ষম ও সুস্থ জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।২০০০- সালে বাংলাদেশের জন্য একটি সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নীতি, প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সুসংহত করা শুরু হয়েছে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩প্রণয়ন করা হয়েছে।সেই সাথে উক্ত আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে২০১৫ সালের ০২-ফ্রেরুয়ারি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়।কর্তৃপক্ষের প্রধান কাজ হলো বিজ্ঞাপনসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন ও আমদানি, প্রক্রিয়াকরন, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন এবং বিক্রয় প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সমম্বয়ের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা। ১৬- মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ () এর সম্মেলন কক্ষে প্রেস ইন্সটিটউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জনাব, জাফর ওয়াজেদ তাঁর বক্তব্য এসব কথা বলেন, এসময় তিনি আরও বলেন। দেশের খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাদের সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের সকল খাদ্যের মধ্যে ভেজাল এর মিশ্রন পাওয়া যায়।তা-ই সাধারণ মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি (বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ) নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণ করার জন্য, জনগণকে সচেতন করতে হলে গণমাধ্যম কর্মীদের বেশি বেশি সচেতনতামূলক বার্তা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় প্রচারের গ্রুরুত্ব দিতে হবে।খাবার গ্রহণ ও সংরক্ষণ, পুষ্টিগুণ বজায় রেখে কিভাবে নিরাপদে থাকবে এ সম্পর্কে জানাতে হবে। দেশের জনগণের জীবনযাপন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছে। আরও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে যার মাধ্যমে জনগণ সুস্থজীবনযাপন করে দেশকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া-অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ন্যাশনাল ফুড সেফটি স্পেশালিস্ট অধ্যাপক এম. বোরহানুদ্দীন। প্রবন্ধের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ। মঞ্জুর মোরশেদ আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, সুস্থ সবল জাতি করতে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংবিধানে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের জন্য, খাদ্যের মৌলিক চাহিদা পূরণ আবশ্যক। খাদ্য ক্রয়, বিক্রয়, রান্না, পরিবেশন ও সংরক্ষণের প্রতিটি ধাপে ধাপে খাদ্য কিভাবে নিরাপদ রাখা যায় সকল বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। অধ্যাপক বোরহানুদ্দীন বলেন, CODEX Alimentarius and Food sefety বা খাদ্য আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত খাদ্য মানগুলির একটি নির্দেশনা। এই মানগুলো ভোক্তাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং খাদ্য বাণিজ্যে উপযুক্ত মান নিশ্চিত করে। CODEX Alimentarius, and food sefety, খাদ্য নিরাপত্তা বিষয় মিডিয়া সংবেদনশীলতা শীর্ষক আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৪০-জন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক অংশগ্রহণ নেয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় পিআইবি’র প্রশিক্ষক পারভীন সুলতানা রাব্বী।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।