সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | সময় বাংলার | পাবনা
প্রথমবর্ষের গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার প্রথমদিনে তুচ্ছ ঘঁনাকে কেন্দ্র করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২০ মে) দুপুর ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো.নুরুল্লাহ গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের দাবী বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে কোন গ্রুপিং নেই।
সংঘর্ষের জন্য তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের দোষী দিলেন। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের গুচ্ছভিত্তিক ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। ভর্তি পরিক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকদের সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সকালের দিকে বিশ্ববিদ্যায়ের প্রধান ফটকের সামনে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই কর্মির মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কাধাক্কি হয়। পরিক্ষা শেষে দুপুর ২টার দিকে ওই বিরোধের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো.নুরুল্লাহ গ্রুপের সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে নিজেদের ও ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ বলেন, মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়। সেখান থেকে হলে গিয়ে কিছু মারামারি হয়েছে। ছাত্রলীগের কেউ এর সাথে জড়িত নয়। এখানে ছাত্রলীগের কোনো গ্রুপিং নেই। তবে, সংঘর্ষের ঘটনায় যদি ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হয়েছে। এখানে ছাত্রলীগের মধ্যে ঝামেলা হয়নি। তারপরও যেহেতু ছাত্রলীগের কথা আসছে, সেজন্য আমরা সবার সাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) জিয়াউর রহমান বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।