ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেসিরোডে সংঘটিত দুর্ধর্ষ ডাকাতি মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ৮ ডাকাত গ্রেফতারের মাধ্যমে ডাকাতির তথ্য তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান গত ১৭ মে ২০২৩ তারিখ রাত ৩টা দিকে আমেরিকা প্রবাসী শাহেদ রেজা কামাল মাওয়া ঘাটে খাওয়া ধাওয়া শেষে ফেরার পথে। কেসিরোডের আন্ডারপাসের উত্তরে রাস্তার উপর অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাতদলের কবলে পড়েন। ঘটনাস্থলে। পূর্ব থেকে অবস্থান নেয়া ডাকাতদলেরা রাস্তায় গাছ ফেলে পথরোধ করে রাত ৩ টা থেকে সাড়ে টার মধ্যবর্তী সময়ে ৩ টি মোবাইল ২ টি আইফোন ও ১ টি অপপো), নগদ ৬৫ হাজার টাকা, ০১ টি স্বর্ণের চেইন এবং ০১ টি গ্রিন কার্ড লুঠ করে নিয়ে যায়। পরেরবিশেষ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনাস্থল, গ্লোবাল লোকেশন ট্র্যাকিং এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান শুরু করেন। ঘটনাস্থলের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে করে কয়েকজন ডাকাতকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা হয়।
সনাক্তকৃত ডাকাতদের মধ্য থেকে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ও মূল পরিকল্পনাকারী কামাল পাহলান (৪৩),হানিফ রহমান (৩৫) ,শাহলম মুন্সী (৩১),শহিদুল ইসলাম সাইফুল (৩৩) কে গত ১৮ জুন ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতেরা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে গত ১৮ জুন ২০২৩ বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে এবং ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের বিষয়ে তথ্য প্রদান করলে গত ২৫ জুন ২০২৩ তারিখ (৫) আবুল তালেব খান (৩৬), এনামুল হক (৩৪)
জাহেদুল ইসলাম সাগর (২৮) মোঃ আলমগীর সিপাহি (৪৫) দেশের বিভিন্ন স্খান থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতের মধ্যে ৪ জন পটুয়াখালী, ০২ জন বরগুনা, ০১ জন নোয়াখালী এবং ০১ জন বরিশালের বাসিন্দা। গ্রেফতারকৃত কামাল পাহলান (৪৩) এর হেফাজত হতে লুণ্ঠিত বাদির গ্রিন কার্ড এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত রামদা, আবুল তালেব খান (৩৬) এর হেফাজত হতে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত পিকআপ (রেজিস্ট্রেশন নং- ঢাকা মেট্রো ন ২১-৩৮৭৮), এনামুল হক (৩৪) এর হেফাজত হতে গাছ কাটা করাত ও রামদা এবং জাহেদুল ইসলাম সাগর (২৮) এর হেফাজত হতে একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। হয় বলেও জানান পুলিশ সুপার।