দীর্ঘ ২৫ দিন ধরে বেনাপোল কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ অর্ধশত কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | সময় বাংলার |
দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ দিন যাবত কোন রকম কারন ছাড়াই ফাইল কার্যক্রম স্থগিত করেছে বেনাপোল কাস্টম হাউস । ফ্রেবিক্সের প্রায় ৫৭টি কন্টেইন আটকে আছে বেনাপোল কাস্টমর্সে । এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতির শিকার তেমনি সরকার হারাচ্ছে বড়রকমের রজস্ব । ৫৭টি চালান ভিতরে ৩২ টি পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়েছে । এর মধ্যে বাকি ২৫টি কন্টেইন পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে । আটকে যাওয়া কন্টেনের রাজস্ব প্রায় ২৮ কোটি ৫০ লক্ষ্য টাকা ।
দীর্ঘ ২৫ দিন কন্টেইন আটকে থাকার কারন হিসেবে জানাযায়, গত ১৯ শে ডিসেম্বর বেনাপোল সেটে ১২ ট্রাক ফ্রেবিক্স জব্দ করেছে কস্টমস কতৃপক্ষ এর মুল্যে প্রায় ২০ কোটি টাকা । তিন চালানের ২ হাজার ৩২৭ প্যাকেজ ফ্রেব্রিক্স আমদানী কারক প্রতিষ্ঠান রোজামনি এন্টারপ্রাইজ দিনাজপুর ও রপ্তানী কারক প্রতিষ্ঠান সুন্দরী ফ্যাসন ইন্ডিয়া । ঘোষনায় আছে সিনথেটিকর্স ফ্রেব্রিক্স তবে পাওয়া গেছে সব শাটিং ফেব্রিক্স ও বেলবেট ফ্রেব্রিক্স । মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে সিনথেটিকর্স ফ্রেব্রিক্সের পরিবর্তে শাটিং ফ্রেব্রিক্স চিনাউল ফ্রেব্রিক্স ও বেলবেট ফ্রেব্রিক্স আমদানী করা হয় । পন্য চালানটি বন্দরে প্রবেশের সময় ওয়েইং স্কেলে ৮ টন মালামাল বেশি থাকলেও স্কেলের কর্মরত বন্দরের কর্মকর্তা সন্দিপ রায় প্রিন্ট দেয়ার সময় মালামাল সঠিক আছে বলে ওজন স্লিপ পিন্ট করে দেন । বন্দর সুএ জানায় পন্য চালান খালাশের দায়িত্বে আছে সিএন্ডএফ এজেন্ট তৃনা এসোসিয়েট ও অনন্তা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড বেনাপোল । শরীফুল ইসলাম নামে এক যুবকের কোন লাইসেন্স নেই তিনি এই দুটি লাইসেন্স ভাড়া করে সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে আসছেন । কস্টমসের চোখ ফাকি দিয়ে দীর্ঘদিন এ্ সিএন্ডএফ এজেন্ট দিয়ে বহু অর্থের মালিক হয়েছেন তিনি । ঘোষনায় কর্টন ফ্রেব্রিক্স থাকলেও সব শার্টিং ফ্রেব্রিক্স ও বক্স্র ফেব্রিক্স পাওয়া যায় । পার প্যাকেজ টিআর ৩০০ গ্রাম ঘোষনা থাকলেও ৩ কেজি করে পাওয়া যায় । একই সেটে ৫ থেকে ৭টি ফেব্রিক্সের চালান রেখে, একটি কনসান্টমেন্ট পরীক্ষা করে খালাসের সময় মিথ্যা ঘোষনার চালান খালাশ করে থাকে । পন্যগুলো খালাশের দায়িত্বে নিয়োজিত শরীফুল ইসলাম জানান, পন্য গুলো খালাস করার দায়িত্ব আমার । আমার নিজের কোন লাইসেন্স নেই ভাড়া লাসেন্সেই কাজ করি । তবে মালামালগুলো কস্টমর্স কতৃপক্ষ এখনো পরীক্ষার কর্যক্রম সম্পুর্ন করেনি । টিআর জনিত কারনে ৪টন মালামাপল বেশি আছে । স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ওয়েট স্লিপ কম্পিউটার ঝালিয়াতি করে তিনি প্রতিনিয়ত রাজস্ব ফাকি দিয়ে আসছেন । যা তদন্ত করলে ধরা পরবে । বেনাপোল কাস্টমর্স হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম জানান , আমাদের কর্মকর্তাদের উপস্থিথিতে পন্যগুলো ভারতীয় ট্রাক থেকে বন্দরের সেটে আলোড করা হয়েছে তবে শতভাগ কায়িক পরীক্ষন কার্যক্রম যত দ্রুত সম্পভব শেষ করা হবে অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না । অথচ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সুন্দরী ফ্যাশনের রপ্তানী করা মালামালের অনিয়মের জন্য দীর্ঘ ২৫ দিন যাবত আটকে আছে বেনাপোলের কার্যক্রম । ব্যবসায়ীদের দাবি দ্রুত কার্যক্রম চালু করা হউক এবং বেজাল মালামালের কন্টেন আটকে রাখা হউক যাতে তারা এই অনিয়ম আর করতে না পারে ।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।