শেখ আছলাম
সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায় শ্রীনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আরধী পাড়া দিঘীর গ্রামের পূর্ব পারের জন চলাচলের ৪০০মিটারের কাঁচা রাস্তাটি। গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না জরুরি সেবার কোনো গাড়ি। এমনকি শ্মশান বা গোরস্থানে যেতেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। কাঁদা মাড়িয়েই স্কুল-কলেজে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটি মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।কিছু দায়সারা কাজ করেই জনপ্রতিনিধিরা উধাও। প্রায় এক যুগ বছর পরও সংস্কার করা হয়নি রাস্তাটি। জনপ্রতিনিধিরা ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পর আর তাদের দেখা মেলে না।হয়তো এটাই তাদের নির্বাচনের ইশতিহার বলছেন সুশীল সমাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ বছর সাতেক আগে এই রাস্তার জন্য একটা বড় বরাদ্ব আসলেও অদৃশ্য শক্তির কারণে বরাদ্দটি অন্যত্র চলে যায়
।কাঁচা রাস্তাটির এমন বেহাল অবস্থা দেখার কেউ নাই।কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা খুব কষ্টে পাঠাদানে যায়।একাধিকবার কাছে কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু কেউ তেমন কোন কোনো কাজ করেননি। তাই ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফ খান বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু পর্যন্ত কাদা হয়ে যায়। এছাড়াও আড়িয়াল বিলের একাংশ ফসল এই রাস্তা দিয়ে বাড়ি নিতে হয়। এই রাস্তা দিয়েই কৃষি পণ্য বাজারজাত করা হয়। আমাদের এ কষ্ট কবে দূর হবে তার কোনো ঠিক নেই। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। জরুরি সেবার কোনো গাড়ি বা যেকোনো গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না। হিন্দু বা মুসলিম কেউ মারা গেলে কাঁদার কারণে সৎকার, দাফন-কাফনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। অতি প্রাচীন রাস্তাটি পাকাকরণ এখন সময়ের দাবি। এ বিষয়টি শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মোসারফ হোসেনকে জানানো হয়।তারপর পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সরজমিনে এসে মেম্বারকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন,এবং আপাতত চলাচলের উপযোগীর জন্য কয়েক বস্তা কংক্রিট ফেলার কথাও বলেন।কিন্তু মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন চেয়ারম্যান পরিষদে আসে নাই
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।