শ্রীনগরে প্রভাব খাটিয়ে মসজিদে অবৈধ কমিটি গঠন এলাকার মুসুল্লিদের নিন্দা।
এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডরী(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মসজিদে বৈধ কমিটি থাকাবস্থায় প্রভাব খাটিয়ে এ আরেকটি অবৈধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে এলাকার মুসুল্লিরা ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা উপজেলার দক্ষিন ফৈনপুর জামে মসজিদে প্রভাব খাটিয়ে এ অবৈধ কমিটি গঠন করে ঐ এলাকার সাইদ পাঠান ও হারুন অর রশিদগং। এব্যাপারে বৈধ কমিটির সভাপতি দীন মোহাম্মদ বাদী হয়ে অবৈধ কমিটির সাইদ পাঠান,হারুন অর রশিদসহ ৭জনের বিরুদ্ধে ওয়াকফ প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করলে ওয়াকফ কার্যালয় তাদেরকে ২০ কার্যদিবসের মধ্য কারণ দশাতে বলেন,অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে মর্মে জানান।
বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, দক্ষিন ফৈনপুর জামে মসজিদ কমিটির জন্য দিন মোহাম্মদ খান পক্ষ ও সাইদ পাঠান একই মসজিদের নাম ফৈনপুর আন নুর জামে মসজিদ নামকরণ করে আরেকটি পক্ষ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেন।গত ৩১ জুলাই ওয়াকফ প্রশাসক সাইদ পাঠানগংয়ের দেয়া ফৈনপুর আন নুর জামে মসজিদ কমিটি বাতিল ঘোষনা করে এবং ওয়াকফ এস্টেট(মিস ইসি নং-৩৯/২০২৩) রূপান্তরক্রমে ২২৬৪১ (৬৪)২৪ নং ইসি নথিভুক্ত করে দক্ষিন ফৈনপুর জামে মসজিদের দিন মোহাম্মদ খানকে সভাপতি ও স্বপন ঢালীকে সাঃ সম্পাদক করে ১৩ সদস্যের কমিটি অনুমোদন প্রদান করেন। আর.এস রেকর্ড এবং এস.,এ রেকর্ড মোতাবেক এই মসজিদের নাম দক্ষিণ ফৈনপুর জামে মসজিদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরবর্তীতে মৃত সূর্যত আলীর ছেলে সাইদ পাঠান, মৃত মন্নাফ শেখের ছেলে হারুন অর রশিদ,মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন মিয়া, মৃত কদম আলীর ছেলে উজ্জল শেখ, মৃত হাসানউদ্দিনের ছেলে শামসুল হক মৃধা,মোসলেম ঢালীর ছেলে অসীম ঢালী ও মৃত জলিল ঢালীর ছেলে মিজানুর ঢালীগং ৬৪ সদস্যের একটি অবৈধ কমিটি ঘোষনা দেন।
স্থানীয় মুসুল্লিরা জানান, একটি বৈধ কমিটির বিরুদ্ধে সরকার পরিবর্তনের পর প্রভাব খাটিয়ে বাদ জুম্মা মসজিদের মীম্মারে দাড়িয়ে হারুন অর রশিদ বলেন এই সরকার বাংলাদেশের সকল মসজিদ কমিটি বাতিল করেছেন। তাই আমরা আজকে মসজিদ কমিটি গঠন করবো বলে সাইদ পাঠানকে সভাপতি ও নিজকে সাঃ সম্পাদক ঘোষনা আরেকটি অবৈধ কমিটি করায় এলাকার মুসুল্লিদের মধ্যে নিন্দা ও ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। পূর্বে ৪ বছর সাইদ পাঠান এ মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন কালে মসজিদের দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন কোন কাজ তিনি করেনি বরং মসজিদ ফান্ডের আড়াই লক্ষ টাকার কোন হিসেব না দিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি দেন, ঐ টাকা তার কাছে জমা আছে এবং মসজিদের ওযুখানার উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদান।
গ্রীল মিস্ত্রি রাসেল জানান, আমি মসজিদের অযুখানা গ্রীল লাগানোর জন্য গ্রীল নিয়ে গেলে সাইদ পাঠান গংদের লোকজন গ্রীল লাগানো যাবে না এই মর্মে তাকে ধমকি দেন এবং গ্রীল ফেরৎ নিয়ে যেতে বাধ্য করেন। বৈধ কমিটির সভাপতি দ্বীন মোহাম্মদ খান কাছে এব্যাপারে জানতে চাইরে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমাকে কোনো কিছুই জানানো হয়নি।
এব্যাপারে সাইদ পাঠানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগে কমিটির সভাপতি পদ থেকে আমাকে প্রভাব খাটিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন তারা পূনরায় কমিটি করে আমাকে সভাপতি করেছে। মসজিদ ফান্ডে আড়াই লক্ষ টাকা পাওনার প্রশ্নে তিনি বলেন, ঐ টাকা নতুন মসজিদ করার জন্য দিয়েছে এই মসজিদের উন্নয়নের জন্য না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুমন বলেন, সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর পর একটা গ্রুপ ওয়াকফ প্রশাসক কর্তৃক বৈধ কমিটির বিরুদ্ধে আরেকটি অবৈধ কমিটি করেছে। আগের কমিটি ছিল ওয়াকফ করা কমিটি। এই অবৈধ কমিটি ঘোষনা দেয়ার পর এলাকার অধিকাংশ মুসুল্লিরা নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।