শিমুলিয়া কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দূর্ভোগে দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো মানুষ
সময় বাংলার ||
মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০, ১০.৪৯ পিএম
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পার হচ্ছে পদ্মানদী
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ (মুন্সীগঞ্জ) মাওয়া থেকে ঃ
দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি নৌরুটে ফেরীসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করেছে বিআইডবিøউটিএ কতৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২ টা থেকে।
এ সময় লঞ্চ স্পীট বোট ও ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় বিকাল ও রাত পর্যন্ত এ ঘাট দিয়ে পার হতে আশা প্রায় ৫০হাজার যাত্রী পরেছে বিপাকে। এতে ছোট শিশু ও নারী রয়েছে বেশির ভাগ।
গন্তব্যে না যেতে পেরে কেউ ফেরত চলেগেছেন ঢাকায় আবার কেউ কোন ব্যবস্থায় পার হয়েছেন ঠেলে কোষে। অনেক কোথাও যেতে না পেরে রাত যাপন করেছেন খোলা আকাশের নীচে । শিমুলিয় ও মাওয়া এলাকায় সকাল থেকে দেখা যাচ্ছে ২শ থেকে ৫শ টাকা করে মাথাপিছু যাত্রী নিয়ে পার হচ্ছেন পদ্মা নদী। ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে অনেক বাবা মা পরেছেন ভোগান্তিতে।
জীবনের ঝুকি নিয়ে অসাধু ট্রলার মালিক দেরকে পারাপারের ব্যাপারে লৌহজং থানা পুলিশ এবং মাওয়া নৌ পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অভিযোগ সচেতন মহলের ।
সরকারের ঘোষনায় স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করা হলে, এই নৌরুট ব্যাপক চাপ পরে যাত্রীদের। গতকাল সকাল থেকেই ছোট গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ ছিল শিমুলিয়া ঘাটে। আজ বুধবার কিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় ছিল ৩ শতাধিক পণ্যবাহি ট্রাকসহ ৪ শতাধিক ছোট গাড়ি।
শিমুলিয়া ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের টি-আই মোঃ হিলাল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত ২ লাখের মতো দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী পার হয়েছে। রাতেও অপেক্ষায় খোলা আকামেল নীচে কাটিয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এখন যে যেভাবে পারছে পার হচ্ছে। শিমুলিয়া ঘাটে ৭ শতাধিক ট্রাক-কাভার ভ্যান ও ছোট গাড়ি রয়েছে।
বিআইডবিøউটিসি উপ সহকারি ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আব্দুল আলিম জানান, শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ অনেক। আমরা ১৪ টি ফেরী চালু রেখেছি। যাত্রী পারাপার হচ্ছে রোগীর এম্বুলেন্স, লাশবাহি গাড়ি অগ্রধিকারে পার করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পণ্যবাহি ট্রাক-কাভার ভ্যান পার করা হবে। #