করোনাভাইরাসের কারণে থমকে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। বন্ধ হয়ে গেছে সব শিল্প-কলকারখানা। গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন সব পেশার মানুষ। ছোঁয়াছে এ ভাইরাসের প্রভাব ক্রীড়াঙ্গনেও পড়েছে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব খেলাই বন্ধ।
এই সংকট মুহূর্তে ক্রিকেটাররা কী করছেন, তা জানার আগ্রহ অনেকের মধ্যেই রয়েছে। দেশের ক্রীড়ামোদি মানুষের আগ্রহ থেকেই ফোন করা হয় জাতীয় দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে।
ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব খেলাই বন্ধ। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ফিটনেস ধরে রাখা কতটা চ্যালেঞ্জিং?- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় দলের তারকা এ ওপেনার যুগান্তরকে বলেন, আমি আমার মতো করেই প্র্যাকটিস করছি। যতটুকু সময় পাচ্ছি ফিটনেস ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করছি। বাসায় বসে তো আর মাঠের মতো অনুশীলন করা যাবে না। যতটুকু করা সম্ভব ততটাই করছি।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে কী করছেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেন, আসলে এ ব্যাপারে অনেক কথা বলেছি, আমার ফেসবুক পেজে একটা ভিডিও দেয়া আছে সেখান করোনায় করনীয় সম্পর্কে বলা আছে। যদি সেখান থেকে দেখে নিতেন ভালো হতো।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাতীয় দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল বলেন, করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, বাংলাদেশে তার সংখ্যাও বাড়ছে। প্যানিক করার কিছুই নাই। কিন্তু সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় প্রসঙ্গে তামিম বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দুইটা ব্যাপার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত-সবাইকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা লাগবে, নিয়ম মেনে বারবার হাত ধোয়া লাগবে। চোখ, মুখ ও নাকে হাত দেয়া যাবে না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
দেশের হয়ে ৬০টি টেস্ট, ২০৭টি ওয়ানডে ও ৭৮টি টি-টেয়েন্টি ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ২৩টি সেঞ্চুরিসহ ১৩ হাজার ৩৬৫ রান করা তামিম বলেন, করোনা মোকাবেলায় জিততে হলে আমাদের সবাইকে এক সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাসা থেকে বাইরে না যাওয়া, ভিড় থেকে দূরে থাকা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান এভয়ড করা। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং দেশের জন্য আমাদের কিছু সেক্রিফাইস করতে হবে।
বিদেশ থেকে দেশে ফেরা প্রবাসীদের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্করা।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।