জাপানি সংবাদমাধ্যম জাপান টুডের খবরে বলা হয়, গতকাল সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে পার্লামেন্টে দেওয়া তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘ভাইরাসবিরোধী ওষুধ রেমিসেভির করোনা চিকিৎসায় শিগগিরই অনুমোদন দেওয়া হবে।’ জাপানের এক সরকারি কর্মকর্তা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব, সামনের মাসেই করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ওষুধটি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। করোনার আক্রমণের ফলে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতায় বিশ্বব্যাপী ওষুধ ও টিকা আবিষ্কারকে ত্বরান্বিত করছে।
রেমডেসিভির ওষুধটি তৈরি করেছে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি গিলড সায়েন্স ইনকোরপোরেশন। ইতিমধ্যেই ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে। সম্প্রতি ওষুধ বিষয়ক ম্যাগাজিন দ্য নিউ ইংল্যাণ্ড জার্নালে এ ব্যাপারে একটি গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়, ৫৩ জন করোনা রোগীকে রেমডেসিভির দেওয়ার পর ৭০ শতাংশ সফলতা এসেছে। তবে ওষুধটির ব্যাপক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ওষুধটি সেবনের পর কিডনির ব্যাপক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে গিলড সায়েন্সের জাপান ইউনিটের মুখপাত্র দাবি করেছেন, নতুনভাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে। ওষুধটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমিয়ে রোগীর নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে জাপানে ফুজিফিল্ম টয়োমো কেমিক্যাল ইঙ্কের তৈরি ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ অ্যাভিগানও করোনা আক্রান্তদের দেহে পরীক্ষা করে দেখবে জাপান। জাপান ওষুধটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা আগামী জুনে করতে চাইলেও ইতিমধ্যেই ওষুধটি ব্যবহার করে উপকার পেয়েছে বলে দাবি করেছে চীন।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।