মোঃ রুবেল ইসলাম.তাহমিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, (মুন্সীগঞ্জ থেকে)
করোনার সময়ে মুন্সিগঞ্জে চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। গত বুধবার সন্ধায় সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সরেজমিনে জানাযায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন হকের ছোট বোন জেসমিন জুইয়ের পক্ষ ও একই এলাকার আহম্মদ হালদারের পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। গত একমাস আগে দুই পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ হয়। সেসময় আহম্মদ হালদারদের বিরুদ্ধে থানায় বিস্ফোরক মামলা হয়। বুধবার বিকেলে ওই মামলার দুই আসামীকে মারদর করে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয় জেসমিন গ্রুপ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র সন্ধায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে আবারও কথাকাটা কাটি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।এ ঘটনায় দু’গ্রুপের মধ্যে প্রায় শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ করা হয়। এ ব্যাপারে আহম্মদ হালদার জানান, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গতকাল সন্ধ্যা হঠাৎ করে আমাদের উপর জেসমিনের লোকজন হামলা চালায়। রাতে আমাদের একশ পরিবারকে পিটিয়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এলাকা ছাড়া করে। আমাদের ৭/৮ জন আহত হয়েছে। তারা ভয়ে লুকিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। আজ(বৃহস্পতিবার) সকালেও আবার আমাদের পক্ষের লোকজনদের কহেকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে ও লুটপাট চালায় জেসমিনের লোকজন। শিশু-নারীসহ পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি আমরা। আমাদেরকে হয়রানি করতে নিজেদের লোকজনকেও ইচ্ছাকৃতভাবে রক্তাক্ত করে জেসমিনরা। তবে জেসমিন জুই তাদের উপর আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,আহম্মদ পক্ষের কয়েকজন আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।এ কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার বৃদ্ধা শ্বাশুরিসহ ৫ জনের মত আহত হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করলে তারা ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।