দিনাজপুরের বাগানগুলোতে এখন লিচুর দানা এসেছে। গাছে গাছে মাদ্রাজি,বোম্বাই, কাঠালি, চায়না, চায়না থ্রি, আর বেদানা লিচুতে ভরা। ভালো ফলন পেতে দিনরাত পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগান মালিক ও কৃষকেরা। থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা সবুজ রংয়ের লিচু যেন অপেক্ষয় আছে জ্যৈষ্ঠ মাসের। মে মাসের শেষে বা জুনের প্রথম সপ্তাহে লিচু পাকতে শুরু করবে। বাগান মালিকরা পোকা দমনে কীটনাশক, সেচসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকে বাগান বিক্রি হয়নি। লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটও রয়েছে তাই কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে দুঃচিন্তায় বাগান মালিকও কৃষকরা।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বাজারে লিচু কেনাবেচায় সরকারের সহযোগিতাসহ প্রণোদনায় অর্ন্তভুক্তির আবেদন জানিয়েছেন বাগান মালিকরা।বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি ব্যবস্থায় বিভিন্ন জেলায় লিচু পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির দিনাজপুরের সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল বলেন, বাগান মালিক ও কৃষকরা যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রয়েছে।
জেলার ৬ হাজার হেক্টর জমির লিচুর বাগানে এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর ৫ হাজার ২শ’ হেক্টর জমির লিচুর বাগানে উৎপাদন হয়েছিল ৩০ হাজার মেট্রিক টন ।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।