পদ্মাসেতেুর -জাজিরা প্রান্তে সংযোগ, দৃশ্যমান ৪ হাজার ৬৫০ মিটার।
সময় বাংলার ||
বুধবার, ১০ জুন, ২০২০, ৪.৪৫ পিএম
ছবি: তাহমিনা রুবাইয়া ইশা” সময় বাংলার।
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট মাওয়া থেকেঃ
দেশে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই আজ পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের শেষ স্প্যানটি বসলো। বুধবার (১০ জুন) ৩১তম এ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর মাঝনদীর সাথে সংযোগ ঘটলো জাজিরার। ফলে জাজিরা থেকে মাঝনদী পর্যন্ত এক সাথে দৃশ্যমান এখন ২৯টি স্প্যান। সব মিলে সেতু দৃশ্যমান ৪ হাজার ৬৫০ মিটার। এরপর থেকে বাকি স্প্যানগুলো বসবে মাওয়া প্রান্তে।
অনেক দূর থেকে তাকালে মনে হয় সরু চুলের মতো একটা লম্বা একটা রেখা নদীর উপর এপাশ থেকে ওপাশ চলে গেছে। মধ্যখানে শুধু একটা স্প্যানের বিরতি। জাজিরা পাড়ে টানা বসানো আছে ১৬টি স্প্যান, মাঝের একটির বিরতির পর মাঝনদীতে আবারও টানা বসানো আছে ১২টি। এবার মাঝেরটি বসানোর পালা। সকাল ৯ টায় মাওয়ার ইয়ার্ড থেকে স্প্যান নিয়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরত্বে রওয়ানা দেয় ক্রেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় নদীর তীব্র স্রোত। মূল নদীতে স্রোতের বাধা পেরুনোর পর আবারও ক্রেন আটকে যায় নদীর তলদেশের পলির কারণে। ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আবারও শুরু হয় কাজ। দুপুর ১ টা নাগাদ স্প্যান নিয়ে আসা যায় নির্ধারিত পিলারের কাছে। শুরু হয় বসানোর তৎপরতা। সাম্প্রতিক সময়ে অন্য স্প্যানগুলো বসাতে দুই দিন করে সময় নেয়া হলেও দিনে দিনেই বসিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় ৩১তম স্প্যানটি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইয়ার্ড থেকে নিয়ে এসে পিলারের উপর তুলতে সব মিলে সময় লাগে ৭ ঘন্টার বেশি। এ স্প্যানটির ফলে এখন জাজিরার শেষ পিলারটি থেকে শুরু করে মাওয়ার দিকে টানা ২৯টি স্প্যান দৃশ্যমান করা হলো। মাওয়া প্রান্তে বসানো আছে মাত্র দুটি। সেতুর ৪১টির মধ্যে যে ১০টি স্প্যান বাকি আছে, তার সবগুলোই এরপর বসানো হবে মাওয়া প্রান্তে। এদিকে ২৬ ও ২৫ নম্বর খুঁটিতে বসলো এ স্প্যানটি। তবে এ দুই খুঁটির মাঝামাঝি শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের চ্যানেল টি । ৩১৪০ মেট্রিক টন ওজনের ১৫০ মিটার দীর্ঘ স্প্যানটি স্থাপনে নিরাপত্তার স্বার্থে ৮ ঘণ্টার জন্য এ নৌরুট বন্ধ রাখা হয়েছিল। ৩১তম স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তের শেষ স্প্যান ছিল এটি। গেলে সেতুর বিশেষ একটি ধাপ সম্পন্ন হয়ে । বর্ষা মৌসুমে জাজিরার ৪২তম খুঁটি থেকে মাওয়ার ১৩তম খুঁটি এলাকা পর্যন্ত লাখ লাখ ঘন ফুট পলি পরে নব্যতা সৃষ্টি হয়। তাই ভরা বর্ষার আগেই এই স্প্যান স্থাপন করা না গেলে নাব্যতা সঙ্কটের বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতো। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ সকল তথ্য নিশ্চিত করেন।