স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, জুয়ার বোর্ড থেকে পাওয়া টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ ও পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকা- সংঘটিত হয়। তারা আরও জানান, শাকিল ধাওয়াপাড়া ও নারুলী এলাকায় বালু ব্যবসার পাশাপাশি জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার বাড়ি শহরের উত্তর চেলোপাড়ায় হলেও তিনি বসবাস করতেন নারুলী তালপট্টি এলাকায়। স্থানীয় সূত্র জানায়, শাকিলের সঙ্গে একই এলাকার আল আমিন নামের এক যুবকের বিরোধ দীর্ঘদিনের। কয়েক বছর আগে আল আমিনকে পুলিশ অস্ত্রসহ আটক করে। আল আমিন জেলে থাকাকালে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন শাকিল। আল আমিন জামিনে বের হওয়ার পর তাদের মধ্যে বিরোধ চরমে পৌঁছে। এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে সালিশ বৈঠকও হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, নারুলী এলাকায় জুয়ার আসর থেকে শাকিল ৩০ হাজার টাকা চাঁদা (স্থানীয় ভাষায় বিট মানি) নেন। এই টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শাকিল আকাশতারা এলাকায় গিয়ে শাওন ও হাবিব নামের দুইজনকে মারধর শুরু করে। এ সময় ওই দুজনের সহযোগীরা শাকিলকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে এলাকা ত্যাগ করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। পূর্বশক্রতার জেরে হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু হয়েছে। নিহত শাকিল ২০১৫ সালের ৬ মার্চ সাবগ্রাম বন্দর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মানিককে কুপিয়ে হত্যা এবং ২০০৯ সালে চেলোপাড়া এলাকায় রাব্বী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন। উল্লেখ্য, সাতদিন আগে গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের উপকণ্ঠ শাকপালা মোড়ে মসজিদ চত্বরে প্রকাশ্যে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ ওরফে মিস্টারকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।