যমুনার ভাঙনে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের মাইঝাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক নদীগর্ভে চলে গেছে। বিলীন হয়ে গেছে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি।
জানা গেছে, টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই সাথে শুরু হয়েছে যমুনার ভাঙন। ফলে নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের একটি কমিউনিটি হাসপাতাল, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তিনটি মসজিদ নদীগর্ভে চলে গেছে। বিলীন হয়ে গেছে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি। সলিমাবাদ ইউনিয়ন জুড়েই রয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। এ ভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে এক সময় সলিমাবাদ ইউনিয়ন পুরোপুরি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গেল কয়েক দিন ধরে ভাঙনের কবলে পড়েছে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি, তিনটি মসজিদ, ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক, মাইঝাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে যমুনার ভাঙন থেকে সলিমাবাদ ইউনিয়নকে রক্ষা করা কঠিন হবে।
এ দিকে গত রবিবার (১৪ জুন) সকালে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা মাইঝাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ইউনিয়নের যমুনা নদীর বিভিন্ন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি ভাঙনকবলিত মানুষদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের জন্য নির্ধারিত দুর্যোগ মোকাবিলার আশ্রয় কেন্দ্র জনতা ডিগ্রি কলেজে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এ সময় নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়জুল ইসলাম সময়ের কন্ঠস্বর’কে বলেন, নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের যমুনা নদী ভাঙনের বিষয়টি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া নদী ভাঙনের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের হিসাব করা হচ্ছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের কষ্ট লাগবে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।