করোনা মহামারির সময়েও দরিদ্র, ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে বিএনপিকে দাঁড়াতে দিচ্ছে না সরকার—এমন অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “করোনাভাইরাসের দুর্যোগকালে দেশে যখন গরিব ও ছিন্নমূল মানুষ দু মুঠো ভাতের জন্য হাহাকার করছে তখন ক্ষুধারত ও নিরন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো ত্রাণ কার্য্ক্রম অব্যাহত রাখায় সেই মানবিক কাজটিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না সরকার। “তারা দলীয় লোকজনদের দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হিংস্রতার থাবা বিস্তার করছে, নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করছে।” “এই করোনা মহামারীর মধ্যে গরিব ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের কর্মসূচিতে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের এই হামলা ঘটনা অশুভ ইঙ্গিতের ইশারা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি,” বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, “নিরন্ন মানুষকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের দ্বারা সাহায্যের মহৎ উদ্যোগকে সন্ত্রাসী কায়দায় বাধাগ্রস্ত করতেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে চলমান দুঃশাসনের ভয়াবহ নজির।”
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় নিন্দা জানান। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, গত ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জে ৮, ৯ ও ১০নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ও মহিলা দল নেত্রী আয়শা আক্তার দীনার নেতৃত্বে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা একই কায়দায় হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদেরকে আহত করে। করোনা মহামারীর সংকটকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত এই ধরণের ন্যক্কারজনক হামলা ও নেতাকর্মীদের আহত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।