গত সোমবার শরিফুল ইসলাম তার স্ত্রী আশা বেগমকে শারীরিক নির্যাতন করে পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থা অবনতি হলে রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আশা। নিহতের বাবা মামুন বলেন, পাঁচ বছর আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে ক্রমে আমার মেয়ে আশাকে মহাদেবপুর উপজেলার ১০ নং ভীমপুর ইউপির সোনাপুর গ্রামে আব্দুল এর ছেলে শরিফুলের সঙ্গে বিবাহ দিই। বিয়ের দুই বছর পর আমার মেয়ের সংসার জুড়ে একটি ছেলে সন্তানও হয়; তার বয়স ৩। গত সোমবার আমার মেয়েকে অমানুষিক নির্যাতন করে শরিফুল। প্রতিবেশীরা খবর দিলে আমরা হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের অবস্থা গুরুতর দেখে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যাই। কিন্তু এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় মারা যায়। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ময়না তদন্ত শেষে লাশ আশার বাবার বাড়ির এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে শরিফুলের মা বলেন, আমার ছেলে কখন কখনোই এ রকমের নির্যাতন করে নাই। আমার ছেলের বউ সংসারে আসার পর থেকে অশান্তি লেগেই আছে। ঘটনার দিন কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটে নাই। হঠাৎ কথা কটাকাটির এক পর্যায়ে বিষ খাবো গলায় ফাঁস দিবো বলে চিৎকার চেঁচামেচি করে। পরে আমার ছেলে কাজ করার উদ্দেশ্য বাড়ির বাহিরে চলে গেলে গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করে আশা। তিনি আরও জানান, ইতিপূর্বে ও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানায়। মহাদেবপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামি গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।