গত শুক্রবার (২৬ জুন) বিকালে উপজেলার নেত্রাবতী পুরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে মানিককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশ। মানিক একই এলাকার দেলোয়ার তালুকদারের পুত্র।টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি হারুন-অর-রশীদ জানান, ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন এবং অপহরণ মামলার পলাতক আসামি। ২০১৫ সালে প্রবাসী চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়। সে মামলায় মানিক দীর্ঘ দিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব নানা কারণে মানুষিক বিকার গ্রস্ত হয়ে পড়ে। পুরাপাড়া গ্রামে নানা বাড়িতে পলাতক ছিল মানিক। পাশের নেত্রাবতী গ্রামের দেলোয়ার তালুকদারের পুত্র মানিক। নেত্রাবতী গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ছেলে মানিকের জন্য খাবার নিয়ে বাবার বাড়ি আসেন তাসলিমা বেগম। রান্না ঘরে খাবার সময় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে বটি দিয়ে মাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে পুত্র মানিক। চিৎকার শুনে বড় বোন শামসুন নাহার রক্ষ করতে আসলে তাকেও কোপায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটয়ে পড়ে দু’বোন। পরে আশপাশের লোকজন মানিককে আটক করে পুলিশের খবর দেয়। তিনি আরও বলেন, জখম দু’বোনকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাসলিমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। তাসলিমার পেটে, পাঁজরে, পিঠে ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত বটির ছয় কোপ লেগেছে। আর শামসুন নাহারের কপালে ও পিঠে কোপ রয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ওসি জানান, মামলার প্রক্রিয়া চলছে, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনার পর নিজের গলায় বটি চালিয়েও আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলেন মানিক। তবে তিনি জখম হননি, গ্রেফতারকৃত অবস্থায় থানায় রয়েছেন। মানিকের পিতা দেলোয়ার তালুকদার তথা দেলে একজন প্রান্তিক কৃষক। পুত্রের কারণে দরিদ্র এই পরিবারটি নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। এই নিয়ে পারিবারিক অশান্তিও ছিল।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।