মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ মাওয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণনে দেশের সর্ব প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাষাপাশি বন্ধরয়েছে দোকান পাট-হোটেল রেস্তরা -ব্যবসা বাণিজ্য। ভাইরাসের এ প্রকোপ ঠেকাতে সরকারের দেয়া ছুটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি উন্নতি না হলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও উপজেলার সিরাজদিখানের বয়রাগাদি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মো. শাহ জালাল সামাজিক দুরত্ব না মেনে মাস্ক ছাড়া চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বানিজ্য। সরেজমিনে দেখাগেছে, বয়রাগাদি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাহ জালাল তার বাড়ির পাশে একটি কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে কোন ধরনের সামাজিক দুরত্ব না মেনে ও সরকারী নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বানিজ্য। সেখানে পড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেনির শিক্ষার্থীদের। তবে শিক্ষকসহ অধিকাংশ শিক্ষার্থীই কোন মাস্ক ও গøাবস ব্যবহার করছেনা। দেখাযায় এক বেঞ্চে একাধিক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসে আছে। সেখানে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ৮ম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের ও সকাল ৯টা থেকে পড়ানো হয় ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। বয়রাগাদি ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী শামিম বলেন, আমরা করোনার আগে স্যারের কাছে এক ব্যাচে ২০জন পরতাম আর এখন আমাদের ব্যাচে ৬জন পরি।
এ বিষয়ে বয়রাগাদি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. শাহাজালাল কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন তেমন ছাত্রছাত্রি পড়াইনা করোনা পরিস্থিতির আগে আমি ১শতাধিক ছাত্র ছাত্রী পড়াতাম। এখন যাদের পড়াই তারা আমার বাড়ির মানুষ ও আত্মিয়স্বজন। বয়রাগাদি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক মো. সেন্টু মিয়া বলেন, করোনার কারোনে আমি বাড়ি থেকে বের হইনি। তবে কোচিং করানোর বিষয়ে আমি জানতে পেয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেছি সে তার বাড়ির ছাত্র পরায়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কাজী আব্দুল ওয়াহিদ মোঃ সালেহ কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নীতিমালা বা সরকারী বিধানের বাইরে কোন কাজই করা জাবেনা। যদি কোন শিক্ষক এমন কাজ করে তাহলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।