শনিবার (৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মালগাজী ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে আলমগীর মল্লিক, আতিয়ার মল্লিক ও রাহাত হোসেন’র অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন মোংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষেরও ৩ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে চন্দনা সরকারের অবস্থা গুরুতর হলেও প্রতিপক্ষের ভয়ে থানায় মামলা ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন না তারা। এ ব্যাপারে ৭ জনসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিক। ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর মল্লিক তার মামলায় উল্লেখ করেন, মালগাজী গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার রেজি সরকারের সাথে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। তার মধ্যে একটি নারীঘটিত ঘটনায় সালিশ বৈঠকে মেম্বারকে দোষারোপ করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এক বৈঠকে তা মীমাংসা করে চেয়ারম্যান। কিন্তু ওই সালিশ বৈঠক শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মালগাজী মিশনবাড়ীর মোড়ে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিকের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় পার্থ সরকার, সাবেক মেম্বার রেজি সরকার, রিয়াদ, মামুনসহ রেজির লোকজন। এসময় ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বর্তমান ইউপি সদস্য সহ ৪ জনকে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে আহত আলমগীর মল্লিক, রাহাত হোসেন ও জাহিদ মল্লিকের অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। এ বিষয়ে মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি সদস্য রেজি সরকার বলেন, এলাকার একটি নারী ঘটিত ঘটনা মেম্বার জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন বিচারের নাম করে টালবাহানা করে আসছিল। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার সমাধান করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তবে এ বৈঠকে মেম্বার জাহাঙ্গীরকে দোষারোপ করায় তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। আর যখন মারামারির ঘটনা ঘটেছে সে সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। কিন্তু শত্রুতা করে মামলার আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার বাদী ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, পূর্বের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার সাথে রেজি সরকার ও তার লোকজনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। যার কারণেই সালিশ বৈঠকে তার বিরুদ্ধে দোষারোপ করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে আমার লোকজনের উপর হঠাৎ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে রেজি সরকার, রিয়াদ ও তার দলবল।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, শনিবার রাতে মালগাজী এলাকায় মারামারির ঘটনায় ৭ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।