রোববার (৫ জুলাই) ভোর রাতে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মাইস্তা চৌধুরীবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত গৃহবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। জানা যায়, সাত বছর আগে মির্জাপুর উপজেলার বুসুন্দী গ্রামের আব্দুল রহমানের ছেলে ফারুক হোসাইনের সাথে গৃহবধূ আখির বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। সংসারে দুই বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। ফারুকের বাবা বিদেশ থাকায় ফারুক ও তার মা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফারুক তার স্ত্রী আখিকেও মাদক বিক্রি করতে বললে আখি তাতে রাজি না হয়ে তাদের এই ব্যবসা করতে নিষেধ করে। এ থেকে তাদের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে আখি তার বাবার বাড়ি চলে যায়। পরবর্তীতে সালিসী বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করে আখি আক্তারকে ফারুকের বাড়ি পাঠানো হয়। কিন্তু তারপরও ফারুক তার স্ত্রীকে মাদক বিক্রি করতে বলে। আখি কোনভাবেই তাতে রাজি হয়নি। গত এক বছর আগে ফারুকের কাছ থেকে আখি চলে এসে গাজীপুরে এক গার্মেন্টস চাকুরী করতে থাকে। সেখানেও তাকে ফোন করে তার বাড়িতে ফিরে আসতে বলে এবং তাদের সাথে মাদক বিক্রি করতে বলে অন্যথায় তার চোখ উপড়ে ফেলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত রমজান মাসে ফারুক গাজীপুর আখির বাসায় গিয়ে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আখি আক্তারকে আহত করে। ওই ঘটনায় গাজীপুর সদর থানায় এক সাধারণ ডায়েরী করে আখির পরিবার। রোববার ভোর রাতে সিঁধ কেটে আখিদের ঘরে প্রবেশ করে কাচি দিয়ে আখির চোখে ঘা দিয়ে পালিয়ে যায় ফারুক। পরে আখির আত্মচিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে ফারুককে খুঁজতে থাকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ফারুককে পাওয়া যায়নি। পরে আখিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে আখিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার আনোয়ার হোসেন জানান, ফারুক হোসাইন মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। মাদক বিক্রি নিয়ে স্বামী স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। অবশেষে আখি চোখ উপড়ে ফেলে স্বামী পালিয়ে যায়। এ ধরনের ন্যক্কার জনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। কালিহাতী থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, ঘটনা তারা জানতে পেরেছেন। একজন এসআইকে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।