মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করা ৩৮ জনের মরদেহ দাফন কাজ সম্পন্ন করে মনবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন লৌহজং উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ মর্তুজা খান ও তার টিম। দেশে করোনা প্রার্দুভাবের পর থেকে মানব সেবায় সক্রিয় থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এমন ৩৮ জনের মরদেহ গোসল থেকে শুরু করে জানাজা ও দাফন করে আসছে।
সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার ১১টায় মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন কুমারভোগ কবরস্থানে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মেদিনী মন্ডল গ্রামের কতার প্রবাসী কামাল খানের লাশ দাফন করলেন। মরহুম কামাল খান গত ৮দিন আগে কাতারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সোমবার ভোরে তার লাশ কাতার এয়ারলাইন্সযোগে ঢাকায় এসে পৌঁছে। পরে অ্যাম্বুলেন্স যোগে তার গ্রামের বাড়িতে আনা হলে মর্তুজা ও তার দল মরহুমের দাফন সম্পন্ন করেন। কামাল খান ছাড়াও সোমবার লৌহজংয়ে কারাপাশ গ্রামের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া হুমায়ূন কবীর খানের লাশও দাফন করে মর্তুজা ও তার দল। এ নিয়ে মর্তুজা খানের নেতৃত্বে সর্বমোট ৩৮ জনের মরদেহ দাফন করা হয় । এত সংখ্যাক করোনাে রোগীর মরদেহ দাফন করা হলেও তার টিমের সকল সদস্যরা করোনা মুক্ত। তিনি বলেন, দেশে মহামারী করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে নিজের বাবা-মা, ভাইবোন আত্মীয় স্বজনের লাশই অনেকে দাফন করতে এগিয়ে আসেনি। ঠিক সেই সময়ে এবা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান শিপন মৃধার অনুপ্রেরণায় আমিসহ উপজেলার সাতঘড়িয়া গ্রামের একদল স্বেচ্ছাসেবী এগিয়ে আসেন। আমরা উদ্যোগে নেই করোনা রোগীদের দাফন কাফন করার। এ সময় সাজ্জাদুর রহমান শিপন মৃধা আমাদের পিপিই, গামবোট, মাক্সসহ সকল ধরণের করোনা প্রটেকসনের উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করেন। এমনকি শুধু করোনা নয়, যদি কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার দাফনের কাজ সম্পন্ন করতে কোনো আর্থিক সমস্যা হয়, তবে শিপন ভাই ও আমরা এর দায়িত্ব নিয়ে থাকি। এমনকি দূর থেকে লাশ আনতে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাদেরও আমরা অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করে থাকি। আমরা শুধু করোনারোগীর লাশই নয়, সাধারণ মৃতব্যক্তিদের লাশও দাফন করে চলেছি। করোনাকালিন সময়ে এ পর্যন্ত আমরা গত (সোমবারে) ২টি লাশসহ মোট ৩৮টি লাশ দাফন সম্পন্ন করেছি।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।