কবে হবে ঢালাই
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ ,মাওয়া- মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের করিডোর মাওয়া চৌরাস্তা থেকে পুরাতন ফেরী ঘাট পর্যন্ত প্রায় ১ কি:মি রাস্তাটি যানবাহন এবং মানুষ চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তাটি সংস্কার না করার কারণে রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু পানি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। অনেক স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদের, স্কুল, কলেজ, মাদরাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীদের।।পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণেও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত।
মাওয়া বাজারের এই সড়কটি দিয়ে পাশের উপজেলা শ্রীনগর,এবং ভাগ্যকুল দোহার,সহ ৯টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। ১ কি: মি: সড়কের সাথে রয়েছে ব্যস্ততম মাওয়ার পোরাতন বাজার, ৪টি ব্যাংক,২টি প্রাইভেট ক্লিনিক, সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা সদর এবং ঢাকা-মাওয়া মহসড়কের সংসযোগ সড়ক এটি। ব্যস্তম সড়কটি এখন প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে । স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি কাজ হয়েছে এক যুগের বেশি সময় আগে ও খুব নিন্ম মানের। যে কারনে অনেকগুলি গর্তের সৃষ্ঠি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জনজীনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে। তাছাড়া পরিকল্পনা মত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রাখায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি এখন পানির নীচে চলে যাচ্ছে। ফলেজনসাধারণের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে।
এখানকার নিয়মিত অটো রিকশাচালক জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘রাস্তায় গর্তের কারণে ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারেন না। তারপরও ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হয় কবে হবে ঢালাই। ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন খান বলেন,‘রাস্তাটি সংস্কার করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আমি ব্যক্তিগত ভাবে আলাপ করেছি তারা আশ্বাস দিয়েছে এ অর্থ বছরে রাস্তার সংস্কার করা হবে।’ লৌহজং উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল আহসান বলেন, এই রাস্তাটি আমাদের নজরে আছে। এটি অতিগুরুত্বপূর্ণ সড়ক, তবে শিঘ্রই রাস্তাটুকু সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।