দুর্ঘটনা এড়াতে নতুন চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল শুরু রাতে বন্ধ।
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ ( মাওয়া ) মুন্সীগঞ্জ থেকেঃ
মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীতে আইন অমান্য করে রাতে চলাচল করায় পাঁচটি বাল্কহেডকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানাকৃত বাল্কহেডগুলো, এমভি বাবা-মায়ের দোয়া, এমভি মা-বাবার দোয়া, ও এমভি নায়েফ রাতিন-২, রুবেল স্বর্ণা, এমভি বেপারি।
গেল রবিবার (৪ অক্টোবর)ভোর রাতে নৌপুলিশের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এসব বাল্কহেড আটক করে। সোমবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এসব নৌযানকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মু.রাসেদুজ্জামান। মাওয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ কর্মকর্তা সিরাজুল কবির বলেন, আইন অমান্য করে রাতে বাল্কহেডগুলো চলাচল করছিল। রাতের বেলা এসব নৌযান চলাচলের নিয়ম নেই।
গভীররাত অভিযান চালিয়ে ৫টি বাল্কহেড আটক করি।এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এদেরকে জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে ৪টি বাল্কহেডকে ৮০ হাজার টাকা ও একটির কাগজপত্র প্রক্রিয়াধীন থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাল্কহেড সংশ্লিষ্ট আটজনকে আটক করা হয়েছিল। জরিমানা দেওয়ায় সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রতিদিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে, দুর্ঘটনা এড়াতে নৌরুটে নতুন চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল শুরু করেছে রাতে বন্ধ থাকে। এর আগে গত শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে এই চ্যানেল দিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে একটি ফেরি দিয়ে পরিক্ষা মুলক ভাবে শুরু করা হলেও তা আবার বন্ধ হয়ে যায়।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই)হিলাল উদ্দিন জানান, ছোট ও মাঝারি টাইপের ৪ থেকে ৫টি ছোট ফেরির সাহায্যে ফেরি সার্ভিস সীমিত পরিসরে সচল করাকরছে ।তবে রো রো ফেরিগুলো এখনও রাতে চালু করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, নতুন চ্যানেল দিয়ে কোনো বাধা বা সমস্যা সম্মুখীন না হয়েই কাঁঠালবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ফেরি যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়া ঘাঠে পৌঁছায়। এদিকে ফেরি সার্ভিস বারবার বিপর্যয়ের কারণে বর্তমানে ঘাট এলাকায় তেমন যানবাহন নেই বললেই চলে।
উল্লেখ্য, নদী ভাঙন আর নাব্য সংকটের কারণে এই রুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয় রাতে । গত ২৮ জুলাই প্রথম শিমুলিয়া ৩নং রো রো ফেরি ঘাটের অ্যাপ্রোচ রোডসহ বেশকিছু স্থাপনা নিয়ে পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। এর ৯ দিনের মাথায় ৬ আগস্ট দ্বীতিয়বার ভাঙন দেখা দেয় ভিআইপি ঘাট নামে পরিচিত ৪নং ফেরি ঘাটে। পরবর্তী ১২ দিন পর রো রো ঘাট সংস্কার করে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়। এরপর গত গত ৩ সেপ্টেম্বর নাব্য সংকটের কারণে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয় ফেরি সার্ভিস। এরপর বেশ কিছুদিন ড্রেজিং করে সচল করা হয় ফেরি চলাচলের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের চ্যানেলটি। ৮ দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে তিনটি ফেরি কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। শনিবার পর্যন্ত ১ ও ২ নম্বর ঘাট দিয়ে কে টাইপ ও মিডিয়াম টাইপের ৪টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপার করছিল ফেরিগুলো।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।