শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ৫ম- দিনেও ফেরি বন্ধ।

মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ,লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ)

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে শুক্রবার ৫ম- দিনের মতো ফেরি চলাচল বন্ধরয়েছে। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশ পথ হিসেবে সুপরিচিত এ নৌরুটের যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

চ্যানেলে নাব্যতা সংকট ও প্রবল স্রোতের কারণে গত সোমবার বিকাল ৩টা থেকে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডবিøউটিসি)। এসব তথ্য দিয়ে বিআইডবিøউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম জানান, গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কে-টাইপ ও ছােট ফেরি দিয়ে এ নৌ-রুটটি সীমিত আকারে সল রাখা হচ্ছিল ফেরি। কিন্তু শিমুলিয়া ঘাট থেকে মূল পদ্মা পার হয়ে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে পদ্মা সেতুর চ্যানেলের মুখের ৩০ থেকে ৪০ ফুট জায়গায় পানি কম থাকায় প্রবল স্রোত ও নাব্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে। নাব্য সঙ্কটের কারণে চ্যানেল দিয়ে এ নৌরুটের ছোট ফেরিগুলোও চলাচল করতে পারছেনা। এ ছাড়াও স্রোতের কারণে ড্রেজিং কার্যক্রম বিঘিœত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ গত সোমবার থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। তাই ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও ক্যাভার্ডভানসহ অন্যান্য যানবাহন। গত ৫ দিন ধরে ঘাট এলাকায় চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যানবাহনের চালক শ্রমিক ও যাত্রীরা। তবে লঞ্চ ও সিবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি আরও জানান, পদ্মা সেতুর লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে চ্যানেলে নাব্যতা সংকট ও পানির গভীরতা ৩ থেকে ৪ ফুটে নেমে এসেছে। এই পানিতে ফেরি চলাচল সম্ভব নয়। নৌরুটে দীর্ঘদিন নাব্যতা সংকট চলছে। কয়েক দফা ফেরি চলাচল বন্ধও হয়েছে। বিআইডবিøউটিএ ড্রেজিং করে নদীতে নাব্যতা সংকট দূর করলেও তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় এতদিন ছোট কয়েকটি ফেরি দিয়ে সীমিত পরিসরে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল সচল রাখা হয়। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে নদীতে পানি কমতে থাকায় চ্যানেলে আবারও নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়। লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের কাছে চ্যানেলের মুখে পানির গভীরতা এতই কম যে, এ পানিতে ছােট ফেরিগুলোও চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। বারবার পদ্মার তলদেশে ফেরিগুলো আটকে যাচ্ছিল। ফলে বাধ্য হয়ে গত সোমবার বিকেল ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ নৌরুট পরিহার করে অন্য রুট ব্যবহারের জন্য সকলকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিআইডবিøউটিএ নদীতে ড্রেজিং করছে। ড্রেজিং শেষে চ্যানেল খুলে দিলে আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে। কিন্তু কবে নাগাদ ফেরি চলতে পারে, তা তিনি জানাতে পারেননি।