পদ্মায় ৫৮কেজির বিশালাকৃতির এক বাঘাইর মাছ ধরা পড়েছে।

                             ওজন ৫৮কেজি, এ মাছ টি বিক্রি হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা 

মোঃ রুবেল ইসসলাম তাহমিদ,মাওয়া মুন্সীগঞ্জ থেকেঃ
প্রায় তিনযোগের ও বেশি আগে প্রতিষ্ঠিত পদ্মা পাড়ের বহু আলোচিত মাওয়া মৎস্য আড়তের বেচা কেনা সরগম ভোর ৫টাথেকে সকাল ৮টা পর্য়ন্ত। দেশে মাছের বাজার নামক মাওয়া মৎস আড়ৎ টি এক বিশাল পাইকারী বাজার নামেও রূপলাভ করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেমন মাছ ব্যবসায়ীরা তাদের মাছ বিক্রির জন্য আসে, তেমনি ঢাকাসহ দূর দূরান্তের পাইকারাও খোব ভোরে মাছ কিনতে আসেন এখানে।

তবে মাওয়ার মছের আড়ত টির সদস্যরা,সূর্য্য উদয় থেকে অর্ধবেলা পর্যন্ত চলে তাদের প্রায় হাজার লোকের ক্রয়-বিক্রয়। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খ্যাত পদ্মার পাড়ে প্রতিদিনের মত জমে উঠেছে এআড়ৎটি
আজ বুধবার ভোররাতে লৌহজং উপজেলার হলদিয়া সিংগার হাটির, গ্রামের মোঃ জহির নামের এক জেলের নৌকা জালে ৫৮ কেজি ওজনের এ মাছটি ধরা পরেছে। মৎস্য শিকারীরা বহু কষ্টে মাছটি টেনে নৌকায় তুলতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে সকাল ৬টায় জেলেরা মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে মাওয়া ঘাটের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। এ সময় উৎসুক জনতা ঐ আড়তে ভীড় জমায়। আড়তে ৮০কেজি ওজনের এ মাছটির দাম ওঠে ৫৫ হাজার টাকা। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু টাকা লাভের আশায় খুচরা বিক্রেতারা মাছটি এ দামে ডাকে কিনে নিয়ে,ঢাকার পাইকারদের কাছে দুই হাজার টাকা লাভে অর্থাৎ ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানান মৎস্য আড়ৎতের পাইকারী ওই বিক্রেতা মো. মুকলেছুর রহমান মুকলেছ শেখ। তিনি আরো জানান,এ সাইজের বাঘাইর মাছ সচরাচর পদ্মায় মেলেনা। দীর্ঘদিন ধরে আড়তে এ সাইজের বাঘাইর মাছ আমরা দেখিনি। সংশ্লিষ্টরা বলেন মাওয়া ঘাটে ৫৫ হজার টাকা বিক্রি হওয়া পদ্মার বাঘাইর অবিশ্বাস্য হলে এই খানে দিত্বীয় বারের মত এটি। ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর আগে গত বছর সেই মাছের ওজন ৫৫ কেজি হয়ে ছিল। লৌহজং উপজেলা মৎস কর্মমর্তা মোঃআসাদুজ্জামান আসাদ জানান,নদীতে পানি কমতে থাকায় সাথে সৃষ্টিহয় সাগরে পানির প্রচন্ড¯্রত এ কারনে নদীতে প্রতি বছরের মতো নানা প্রজাতির মাছ এ সময়ে ভেঁষে আসেন সাগর থেকে এবংপদ্মায় বিভিন্ন পয়েন্টে পানির গভিরতা থাকলে সেখানে আশ্রয়নেন বড় বড় মাছগুলো আর আসা যাওয়ার মাঝে ধরা পরেন জেলের জালে। এদিকে দাম সর্ম্পকে সংশ্লিষ্টরা বলেন দুর্লভ পদ্মার বাঘাইর বড় আকারের মাছ হওয়ায় মাছের দাম এরকম হওয়ার একটাই কারণ বলে জানা গেছে।এবং প্রতি বছরে বড় কিছো মাছ পদ্মা-মেঘনার মতো মিঠা পানিতে ধরাপড়ে।