মাছের দাম ৪০ হাজার টাকা ! কেমন সেই মাছ ?

মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ (মুন্সীগঞ্জ) মাওয়া থেকেঃ
মাছ কিনতে লাগবে ৪০ হাজার টাকা নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন!
মাছের দাম আর কত হতে পারে যে ২০কেজি ওজনের মাছ ৪০ হাজার টাকা লাগবে?
যদি সেই মাছের দাম লক্ষাধিক হয়! অবাস্তব মনে হলেও সত্যি ! মাছের দাম ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা! বিক্রি হবে? যদি ৫০কেজি ওজনের হয়।

বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় প্রায় ৩৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী মৎস্য আড়ত যা পদ্মা নদীর তীরে বসে প্রতিদিন ভোর থেকে মৎস্য মেলা। মেলায় ৪০জন মৎস্য আড়ত দার ১৩১টিঁ মাছের দোকান ছাড়াও প্রায় ৩৮টি মাছের আড়ত বসে। দেশের দক্ষিন-উত্তরবঙ্গ-সহ বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় রুই,কাতলা,আইড়,বোয়াল সহ বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি টাকার দেশিয় মাছ আসে এ আড়ত মেলায়। আড়ত দার আয়োজকরা জানালেন, প্রতিদিন ভোর সকালের ৫টা থেকে ৭টা, পর্যন্ত ২ঘন্টায় প্রায় ২-৩ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়ে থাকে। আজকের মৎস্য আড়তটিতে সবার নজর মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ মোকলেছুর রহমান শেখের স্টলের দিকে। এখানে শোভা পাচ্ছে ২০কেজি ওজনের বিশাল এক আইড় মাছ। একে ঘিরে ভিড় জমে ওঠে। মাছটির দাম হাঁকা হয় ২০ হাজার টাকা। মাছটির আনুমানিক বয়স ২থেকে ৩বছর।

মৎস্য ব্যবসায়ীর স্টলেই বড় বড় সাইজের মাছ আসে মাঝেমধ্যেই। লৌহজং উপজেলার ডহরী গ্রামের মোঃ কামাল নামের জেলে তার, নৌকা জালে ২০ কেজি ওজনের এ মাছটি ধরা পরে। পরবর্তীতে সকাল ৬টায় মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে মাওয়া ঘাটের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন।এ সময় উৎসুক জনতারা ঐ আড়তে ভীড় জমায়। আড়তে ২০কেজি ওজনের এ মাছটির দাম ওঠে ৩৯ হাজার টাকা। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু টাকা লাভের আশায় খুচরা বিক্রেতারা মাছটি এ দামে ডাকে কিনে নিয়ে,ঢাকার পাইকারদের কাছে এক হাজার টাকা লাভে অর্থাৎ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানান মৎস্য আড়ৎতের পাইকারী ওই বিক্রেতা মো. মুকলেছুর রহমান শেখ। তিনি আরো জানান, এ সাইজের আইড় মাছ সচারাচর পদ্মায় মেলেনা। দীর্ঘদিন ধরে আড়তে এ সাইজের মাছ আমাদের দেখা মেলেনি।