মোঃ রুবেল ইসলাম.তাহ্মিদ মাওয়া মুন্সীগঞ্জঃ
ফের ঘন কুয়াশার কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সাড়ে ১০ঘন্টা ফেরী সার্ভিস বন্ধ ছিল। রোববার দিবাগত রাত ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ফেরী,লঞ্চ,স্পীডবোটসহ সকল নৌচলাচল বন্ধ থাকে।
পরবর্তীতে কুয়াশা কেটে গেলে দীর্ঘ সাড়ে ১২ঘন্টা পর শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার থেকে পুনরায় নৌরুটে ফেরী চলাচল শুরু হয়।এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে মাঝপদ্মার একাধিক পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী যানাহন নিয়ে ভিআইপি গাড়ী বহনকারী ফেরী ক্যামেলিয়াসহ মোট ৭টি ফেরী নোঙরে ছিল।
অপরদিকে ফুললোড অবস্থায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়া ফেরীঘাটে ৩টি ও বাংলাবাজার ঘাটে ১টি ফেরীসহ মোট ৪টি ফেরী পন্টুনে ভেড়ানো থাকে।এতে করে সকালে শিমুলিয়া ফেরীঘাটে প্রায় সাড়ে ৪শত যানবাহন পারপারের অপেক্ষায় থাকায় প্রচন্ড শীতের মধ্যে নৌরুটের মাঝপদ্মায় ও ঘাটে চরম দুর্ভোগে পড়েন দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সকালে শিমুলিয়া ঘাটে আড়াই শত পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব মিলিয়ে সাড়ে ৩শত যানবাহন পারপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডবিøউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ম্যারিন অফিসার মোহাম্মদ আহম্মেদ আলী। বিআইডবিøউটিসির সূত্রে জানা গেছে,গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে শিমুলিয়া নৌরুটের নৌচলাচল।এতে করে চরম বিঘিœত হচ্ছে এ রুটের ফেরী,লঞ্চ,স্পীডবোটসহ সকল নৌচলাচল।প্রকৃতির কাছে অসহায় পদ্মা পারাপারের যাত্রীরা যেন নিত্য দুর্ভোগের সঙ্গী।এদিকে গেল শনিবার নৌরুটে দীর্ঘ পোনে ৭ঘন্টা ,শুক্রবার দীর্ঘ ৯ ঘন্টাসহ প্রায় প্রতিদিনই ফেরী সার্ভিস বন্ধ ছিল।এতে করে ফেরীঘাটে নিত্য যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা পদ্মা পারাপারের যাত্রীরা প্রচন্ড শীতের মধ্যে নৌরুটের মাঝপদ্মায় ও ঘাটে ঘাটে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।শিমুলিয়া বিআইডবিøউটিসির ফেরী মাষ্টার আবদুর রউফ জানান,রোববার দিবাগত ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ফেরী সার্ভিস বন্ধ ছিল।নৌরুটের পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।এ সময় ফেরী চালকেরা নৌরুটের ১ফুট অদূরেও দিক-মার্কা ও সিগন্যাল বীকন বাতি নির্ণয় করতে পারছে না।তাই দুর্ঘটনা এড়াতে এ সময় ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হয়।পরবর্তীতে কুয়াশা কেটে গেলে পুনরায় নৌরুটে ফেরী চলাচল শুরু হয়।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।