মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ,লৌহজং
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার বাজারে ৯টি দোকান ও বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মাওয়া-লৌহজং-বালিগাঁও সড়কের কনকসার ইউনিয়নের কাছে সেতুর পশ্চিমে সোমবার ভোর ৩ টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভস্মীভূত হয় ৯টি দোকানের মধ্যে পাঁচটি ও চারটি বসতঘর। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত তিনটার দিকে একটি বসতঘর থেকে আগুন ছড়াতে দেখে। মসজিদের মাইকে আগুন লাগার বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানানো হয়। বিদ্যুৎ লাইন থাকায় তারা আগুন নেভাতে পারেননি। পরে বিদ্যুৎ অফিসকে ফোনে জানালে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করা হয়। ততক্ষণে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা স্থায়ী আগুনে পুড়ে সব ছাই হয়ে যায়।ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মো. ইউসুফ জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর দেওয়ার অনেক পরে ঘটনাস্থলে আসে। তাদের গাড়িতে সামান্য পরিমাণ পানি ছিল। ক্ষগ্রিস্ত আতাউর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে পানি কেন রিজার্ভ থাকবে না? শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, আগুনের কারণ নির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও বিদ্যুতের ফায়ার থেকে সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্র ছুটে যাই। আমাদের ট্যাংকে সব সময় ধারণক্ষমতার সমপরিমাণ পানি থাকে। পরে স্থানীয় উৎস্য থেকে আমরা পানি সংগ্রহ করে আগুন নিভিয়ে থাকি।আগুনে বসতঘর পুড়ে যাওয়া হযরত আলী বয়াতি বলেন, আমি দুদিন আগে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার টাকা কিস্তিতে এনেছিলাম জায়গার অগ্রিম ভাড়া দেওয়ার জন্য। আমি গরীব মানুষ এখন কিভাবে কিস্তি দিবো? দরিদ্র দর্জি দোকানি আবদুল খালেক শেখ বলেন, আমি অনেক কষ্টে ধারদেনা করে দেড় লাখ টাকার থান কাপড় কিনে রেখেছিলাম। সব পুড়ে ছাই। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।