গোবিন্দ দেব,সুনামগঞ্জ।
করোনা মহামারীর কারনে কামারী পট্টি কামারীরা ভালো নেই। আসছে কুরবানির ঈদ মাএ ১০ দিন বাকি ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মানুষ ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে নানা প্রস্তুতিনিয়ে । তেমনি ঈদকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কামার পট্টির কামাররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন টুং টাং ঝেইশেই শব্দে এক আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে কামার পট্টি।
এদিকে কুরবানির গরু কেনায় যেমন ব্যস্ত মানুষ, অপরদিকে গরু জবাই করার জন্য ছুড়ি, চাপাতি, চাকু, দা বটি কেনা ও পুরাতন যন্ত্রপাতি মেরামত কয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, এমনটি দেখা যায় জগন্নাথপুর পৌর বাজার মার্কেটের কামার পট্টিতে। কামাররা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফুসরত ছাড়াই ছুরি, চাপাতি, চাকু বানানো এবং পুরাতন জিনিসপত্র ধার দিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ১ টি পৌরসভার বাজার গুলোর কামারা এতই ব্যস্ত যে তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী একটু বাড়তি লাভের আশায় হাট বাজারে ছুড়ি, চাপাতি, চাকু, দা বটির পসরা সাজিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছে। জগন্নাথপুর পৌর বাজারের কামার পট্টির ময়না দেব বলেন, সারা বছর আমাদের তেমন কাজ থাকে না। কুরবানির ঈদ আসলে আমাদের ভালই কাজ হয়। এমনকি আমাদের আয়ও ভাল হয়। যার জন্য আমাদের পরিশ্রম মনে হয় না। কামার পট্টিতে ছুড়ি, চাপাতি কিনতে আসা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আংগুর মিয়া বলেন, কুরবানি দিব তাই এগুলো কিনতে এসেছি কিন্তুু অন্য সময়ের চাইতে দাম অনেক বেশি তারপরও দরকার বিধায় কিনতে হচ্ছে। একই উপজেলার পাটলী গ্রামের রাসেল মিয়া বলেন, পুরাতন ছুড়ি, চাপাতি পানি দিতে এসেছি, এগুলো গরু কুরবানির সময় দরকার হয়, তাই পানি দিতে এনেছি। অন্য সময়ের চাইতে টাকা বেশি লাগছে।।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।