কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ফেরিতে যাত্রীদের গাদাগাদি !
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ মাওয়া মুন্সিগঞ্জ
কঠোর বিধিনিষেধে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যাক্তিগত গাড়ি পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে মানা হচ্ছে না নিয়ম। বিধিনিষেধের পঞ্চমদিন আজ মঙ্গলবারও প্রতিটি ফেরিতেই শতশত যাত্রী ও ব্যাক্তিগাড়ি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পদ্মা পারি দিতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে লকডাউন বাস্তবায়ন ও ফেরিতে যাত্রী চলাচল নিয়ন্ত্রণে ঘাটের অভিমুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তবে তা অতিক্রম করেতে যাত্রীরা নানা অজুহাত দেখাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
শারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ফেরিতে যাত্রীদের গাদাগাদি !
সরজমিনে ঘাট এলাকায় দেখাযায়, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতে যানবাহন পাশাপাশি যাত্রীদের উপচেপড়া গাগাগাদি। প্রতিটি ফেরিতেই শতশত ঢাকামুখী যাত্রী। আছে মোটরসাইকেলেরও ঢল। আবার শিমুলিয়া হয়ে বাংলাবাজার যাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা। তবে ফেরিতে দক্ষিনবঙ্গগামী যাত্রীদের চাইতে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি। এতে ফেরিতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এদিকে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা ঢাকা মুখি যাত্রীরা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পথ পারি দিচ্ছে পায়ে হেটে। এবিষয়ে ১ডজনের বেশি যাত্রীদের সাথে কথা বল্লে সবাই জানায় প্রয়োজনের তাগিদেই বিধিবঙ্গ করে ফেরিতে চড়েছে তারা। মাদারীপুর থেকে ঢাকা গামী যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, আমি সৌদি আরব যাবো। তাই করোনা টিকা দিতে ঢাকায় যাচ্ছি। টিকা না নিলে ১৪দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। টিকা নেওয়ার জন্যই বের হয়েছি। আরেক যাত্রী লুৎফর রহমান বলেন, সবাইতো যাচ্ছে তাই আমিও যাচ্ছি। বাড়িতে বসে থাকলেতো কেউ খাবার দিবে না। ঢাকায় চাকরি করি, সেখানে মালিক-মহাজন যাওয়ার জন্য বলছে তাই প্রয়োজনের তাগিদেই যাচ্ছি। আরেক যাত্রী ফয়সাল হোসেন জানান, আমি ব্যাংকে কাজ করি।
ফেরিতে-যাত্রীদের-গাদাগাদি-
তাই চাকরি তে যাচ্ছি। পথে ২জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট পরেছিলো সেখানে আইডি কার্ড দেখিয়েছি। তখন আসতে দিয়েছে। এক নারী যাত্রী উম্মে হামিদা জানান, হাসবেন্ড চাকরি করে। না গেলে চাকরিতে সমস্যা। তাই ঢাকা যাচ্ছি। ভেঙে ভেঙে আসতে অনেক কষ্ট। কিন্তু কি করবো,চাকরি না করলে আমাদের সংসার চলবে কি করে। বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক(বানিজ্য) মোঃ ফয়সাল জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ৪টি রোরো, ৩টি মিডিয়াম ও ১টি ছোট ফেরি চলাচল করছে। জরুরি ও লকডাউনের আওতার বাইরের যানবাহন পারাপারে এসব ফেরি সচল রাখা হয়েছে।