কঠোর বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে আজ শনিবার (৩১ জুলাই) ভোর থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে দেখা গেছে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল।
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ লৌহজং
দেশের দক্ষিন বঙ্গের ২৩জেলার অন্যতম যাতায়াতের নৌপথ শিমুলিয়া বাংলাবাজার ঘাট,হয়ে ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখাদিয়েছে ফেরিতে যাত্রী পারাপার। লকডাউনের প্রথম দিকে কাজ না থাকা ও খুশির ঈদের আমেজ উপভোগ করতে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তারা । ঈদের শেষে আবারও ছুটছেন রাজধানী ঢাকার দিকে। গার্মেন্টস, শিল্প-কারখানা খোলার খবরে সকাল থেকে ঢাকামুখী ছুটছে দক্ষিণাঞ্চলের এ মানুষ গুলো। তাই লকডাউনের নবম দিনে শনিবার (৩১ জুলাই) শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট হয়ে- শিমুলিয়ায় ও রয়েছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ভোর থেকেই রাজধানীগামী যাত্রীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে নৌরুটে। শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন সত্ত্বেও ঈদের পর দিন থেকেই নৌরুট দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত ছিল চোখে পড়ার মতো। লকডাউনে ফেরিতে যাত্রী পারাপার বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে শিবচরের বাংলাবাজার-ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া নৌরুটের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুধু যাত্রীবাহী বাস পারাপার বন্ধ ছিল।
তবে নৌরুটে সাধারণ যাত্রীদের পারাপার ছিল নির্বিঘ্ন। আজ শনিবার যাত্রীদের ভিড় অন্যান্য দিনের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সকাল থেকেই প্রতিটি ফেরিতে রয়েছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় শিমুলিয়া মুখি। বিআইডব্লিউটিসির শিমুয়িা ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে নৌরুটে চারটি রো রো চারটি কে টাইপসহ মোট ১০টি ফেরি চলাচল করছে। গত দুইদিন বৈরী আবহাওয়া থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়েছিল নৌরুটে। ফলে পদ্মা পারাপারের জন্য অপেক্ষারত পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে নৌরুটে। এছাড়া শনিবার সকাল থেকে ফেরিতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ঘাটে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটসহ ছোটবড় অসংখ্য গাড়ি পার হচ্ছে ফেরিতে। এদিকে পদ্মায় পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বেড়েছে সে কারণে ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগছে। মো. নবিন শেখ নামে এক যুবক বলেন, কাল থেকে কারখানা খুলবে। এতদিন তো বাড়িতেই ছিলাম। কাল থেকে কাজে যেতে হবে। তাই আজকেই চলে যাচ্ছি। হেলেনা বেগম নামে পিরোজপুর থেকে আসা এক যাত্রী বলেন, গার্মেন্টস খুলবে কাল। বাড়িতে থেকে জমানো টাকা শেষ হয়ে গেছে। কিছুই করার নেই এখন ঢাকায় ফিরতে ডাবল ভাড়া দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছি। ঘাট সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীরা কয়েকগুন ভাড়া গুনে থ্রি-হুইলার এবং মোটরসাইকেলে করে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট হয়ে শিমুলিয়ায় আসছেন। বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, মাহিন্দ্রাসহ হালকা যানবাহনে চড়ে ঘাটে আসছেন। একইভাবে যাত্রীরা ঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাচ্ছেন। যাত্রাপথে স্বাভাবিকের চেয়ে ব্যয় হচ্ছে দ্বিগুণ। বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট মেরিন অফিসার মো. আহম্মেদ আলি বলেন, নৌরুটে শনিবার সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলছে। পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। ভিড় থাকায় ফেরিতে যাত্রীদেরও পার করে আনা হচ্ছে ।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।